Hurricane Yash । ঘূর্ণিঝড় যশ ।সম্বন্ধে সব তথ্য |আবহাওয়াবিদদের মতে ,

বর্তমানের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের সামনে দিয়ে আসছে আরও একটি নতুন বিপদ |আম্ফান এর মতন বিধ্বংসী ঝড় হবার এক বছরের মধ্যে আবারও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ মুখোমুখি হতে চলেছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের |সঙ্গে আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ সহ আরো কয়েকটি রাজ্যে এবং বাংলাদেশের কয়েকটি অঞ্চলে আছে পড়তে চলেছে| বলতে গেলে এটি আম্ফান এর মতন আরও একটি চিন্তামূলক ঝর| ঝর টির নাম হল কিন্তু এই ঝড় কোথা থেকে তৈরি হল এর গতিবেগ কত হবে| কোথায় কোথায় আছে পড়বে |ঝরনা ক্ষতি হবে ঝড়ের কারণে এই বিষয়ে কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর| এইসব বিষয়ে সম্পূর্ণ জানবো আজকের এই প্রচলন| দেরি না করে শুরু করা যাক |


আরো একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল, বৈজ্ঞানিক ভাষায় যার নাম দেওয়া হয়েছিল এরপর যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তার নাম হলো সেটি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা বেড়েছে আবহাওয়া দপ্তরের, আবহাওয়া দপ্তরের অধিকারী তেইশে মেয়ে নাগাদ, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এর উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে যেটা কিছুদিনের মধ্যেই নিজের শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন হিসাবে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে ,এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় 130 থেকে 140 কিলোমিটার, এবং মনে করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী তিনটি জেলাতে ঝড় এর প্রভাব বেশি পড়তে পারে, প্রথমে আবহাওয়া দপ্তরের অধিকারীরা,যে মায়ানমার লাগোয়া পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর হয়তো, এই নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এবং আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সেটি তৈরি হয়ে যাবে, এবং সেটা ধীরে ধীরে নিজের যথেষ্ট শক্তি বাড়িয়ে ফেলবে আবহাওয়া দপ্তরের অধিকারীরা মনে করছেন |

মোটামুটি এটা শক্তি বাড়িয়ে উড়িষ্যা থেকে মায়ানমার অর্থাৎ উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ এবং মায়ানমার স্থান গুলির মধ্যে যেকোন একটা জায়গায় এগিয়ে যাবে, এই ঝর এবার প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে আবহাওয়া দপ্তরের অধিকারীরা বলেছেন, সমুদ্রের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি করে তার শক্তি বাড়িয়ে চলেছে, এবং তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প যেটা তাকে আরো বেশি করে তুলেছে, এই ঝড়ের কারণে যে সমস্ত জায়গা গুলো সব থেকে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলো হলো ঝড়খালি কাকদ্বীপ পাথরপ্রতিমা সন্দেশখালি এই সমস্ত জায়গাগুলোর মধ্যে এই ঝড় ল্যান্ডিং করতে পারে |

স্তনগুলোকে আবহাওয়াবিদেরা যেটা বারবার বলছেন যে অনেক সুপার সাইক্লোন শক্তি এবং গতি সমুদ্রপৃষ্ঠের হারিয়ে ফেলে অতএব যতক্ষণ না পর্যন্ত ইনফর্মেশন কমপ্লিট হচ্ছে, এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ঝর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ক্রমশ জমির দিকে মানের দিকে বা স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর গতি পর্যবেক্ষণ না করে এর প্রোফাইল এন্ড ফল এবং এর গতি নির্ণয় করা সম্ভব নয়, আবহাওয়াবিদরা মনে করছে সোমবার মঙ্গলবার এর মধ্যে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত এবং কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাত হবে ,এরমধ্যে রয়েছে কলকাতা যেখানে 40 থেকে 50 কিলোমিটার বেগে আমার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং ধীরে ধীরে এই শক্তি এবং গতি আরো বাড়তে শুরু করবে, আর সোমবার এবং মঙ্গল পান্ডে ঘাট এর গতি বেড়ে গিয়ে 80 থেকে 85 কিলোমিটার তৈরি হয়ে যাবে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অলরেডি করে দেওয়া হয় সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে কাটতে না কাটতেই সরকারের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে | 

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে, রবিবার থেকে সমুদ্র উত্তাল আবার শুরু হয়ে যাবে, সেই কারণে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সমুদ্র থেকে ফিরে আসে,আপনারা এই মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন, যে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ যেসব এলাকা গুলো রয়েছে এইসব জায়গাগুলোতে প্রবল বেগে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার চিহ্ন রয়েছে, আর এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ড ফল হবে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ, অর্থাৎ সেরকম আমি আগেই বলেছি সাগরদ্বীপ নামখানা গঙ্গাসাগর এবং হলদিবাড়ির উপর দিয়েই আস্তে পড়বে, এই ঝড় এবং তারপরে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে কলকাতার উপর আছড়ে পড়বে, এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের পার্শ্ববর্তী যতগুলো জেলা রয়েছে যেমন উত্তর 24 পরগনা দক্ষিণ 24 পরগনা মেদিনীপুর নদিয়া মুর্শিদাবাদ হাওড়া হুগলি জেলা গুলোতে পরিমাণের ঝোড়ো হওয়া চলবে এবং প্রবল পরিমাণে বৃষ্টি হবে |

26 তারিখ বুধবার যখন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঝড় আছড়ে পড়বে, তখন বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে মিলিমিটার, এবং কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোতে, বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে থেকে 24 মিলিমিটার মানে যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টিপাত এবং ঝড় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে, এবার দেখা যাক বাংলাদেশের কয়েকটি উপকূলবর্তী এলাকায় কি ঘটবে, 26 তারিখ বুধবার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পড়বে, তখন বাংলাদেশের কক্সবাজার বরিশাল-খুলনা মহেশখালী এই সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ও প্রবল পরিমাণে বৃষ্টিপাত হবে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়াবিদদের মতে গত সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাবে, এবং মঙ্গলবার থেকে হালকা এবং মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টি হবে, এবং সেই দিন রাত থেকে প্রবল পরিমাণে ঝড় এবং বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে, সেই সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকায় যে সমস্ত এলাকার কথা আমি একটু আগেই বললাম, অন্যদিকে দেখতে পাচ্ছেন উড়িষ্যার এই সমস্ত এলাকাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে, এবং এই অংশগুলো কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলো কে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ সুন্দরবন নদিয়া মুর্শিদাবাদ উত্তর 24 পরগনা এই সমস্ত জেলাগুলোতে কিন্তু প্রবল পরিমাণে চর্চিত হবে আর যখন এই ঘূর্ণিঝড় হলদিবাড়ি এলাকা থেকে কলকাতার দিকে আছড়ে পড়বে, তখন এর গতিবেগ হবে 112 থেকে 114 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়, উপকূলবর্তী এলাকা রয়েছে সেই সমস্ত এলাকা থেকে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের, অর্থাৎ কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা রয়েছে সেই সমস্ত এলাকাগুলোতে, কিন্তু প্রবল পরিমাণে আছে পড়বে আর তখন এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে 106 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়  |


অর্থাৎ আপনারা বুঝতেই পারছেন যে প্রবল পরিমাণে আছে পড়তে চলেছে, আবহাওয়াবিদদের সূত্র অনুযায়ী শক্তি হবে আমাদের মতন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আর সেটাই খুবই তীব্র গতিতে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে আসলে পড়তে চলেছে, বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আবহাওয়া দপ্তরের অধিকারী মনে করছি যে হয়তো এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করতে পারে, কিন্তু পরে এই ঝড়ের গতির পরিবর্তন হলদিবাড়ির উপর থেকে না গিয়ে এটা দীঘা উপকূলের উপর থেকে এসে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে, আজকের পর্ব অর্থাৎ শেষ হতে চলেছে, দীঘা এবং তারপর এটা ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের জেলা রয়েছে সেখানে এটি আছে পড়বে, দীঘা থেকে এই ঝড়ের দূরত্ব আমি যখন আর্টিকেল বানাচ্ছি, তখন 700 কিলোমিটার, আর এই 700 কিলোমিটার পথ এই কিন্তু এই ঝর দফায় দফায় নিজের গতিতে চলবে, এবার প্রশ্ন হল কিভাবে নিজের শক্তি বাড়াবে ,যেটা আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন রবিবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে, অর্থাৎ ডিপ্রেশনে পরিণত হয়ে যাবে সোমবারের মধ্যে যেটা দুই'দফায় শক্তি বাড়িয়ে ফেলবে,অর্থাৎ ডিপ্রেশন মানে প্রতি গভীর নিম্নচাপ এবং তারপর ঘূর্ণিঝড়, এর মধ্যে সবথেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার এটা এরপর 24 ঘন্টা অর্থাৎ মঙ্গলবার এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় কিন্তু আরো দু'দফায় শক্তি কম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট ইন ট্রেন স্টেশনের একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা |

অর্থাৎ মঙ্গলবার এর মধ্যেই তৈরি হবে, অতি গভীর নিম্নচাপে এবং এরপর একটা সম্ভাবনা থাকবে যে আরো একদফা শক্তি বাড়াতে পারে, নিজের এবং তারপর ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসবে, গতবছর আম্ফান যখন সুপার সাইক্লোন এ পরিণত হয়েছিল,এই জল সমুদ্র থেকে আমাদের  পশ্চিমবঙ্গের উপরে পড়েছিল, কিন্তু তাতেই যে ধ্বংস হয়েছিল সেটা আমরা প্রায় সবাই জানি, প্রায় 100 জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, এই ঝড়ের কারণে এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, বন্দ্যোপাধ্যায় যে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল, এই ঝড়ের কারণে, কিন্তু এইবার ঝড়ের কারণে কি হয়, সেটা তখনই বলা যাবে, যখনই নিম্নচাপ ডিপ্রেশনে পরিণত হবে, তারপর ধীরে ধীরে সব কিছু ক্লিয়ার হবে, তার সঙ্গে এটাও জানা যাবে যে যে শক্তির কথা আমি বারবার বলছি, সেই অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে নাকি আগে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়বে, তার উপর কিন্তু ধ্বংসলীলা এবং আগামী দিনের দুর্যোগ নির্ভর করবে, বিশেষজ্ঞদের মতে বছরের মার্চ এপ্রিল মে এই তিনটি মাসকে বলা হয় নিমন্ত্রণ মাস, এই সময়ে সাইক্লোন হওয়ার নতুন কিছু বিষয় না, এটা বহু বছর ধরে চলে এসেছে, প্রতিবছর এবং জুন মাসের দিকে এইরকম একটা ঘূর্ণিঝড় হয়, আবার অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এরকম সিপিআর সাইক্লোন হয়ে থাকে, কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণ এই ঝড়ের গতিবেগ ও শক্তির উপর অনেক প্রভাব পড়েছে, অর্থাৎ অতি স্বাভাবিক এবং যদি জ্বর হয় সেটা আটকানোর মতো এখনো পর্যন্ত কোন প্রযুক্তি বের হয়নি, যে কারণে আমাদের সবাইকে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে তাই সতর্ক থাকুন ভালো থাকুন |

No comments

Theme images by Silberkorn. Powered by Blogger.
ad