রাশিয়ান ভয়ঙ্কর ঘুমের পরীক্ষা গল্প । আপনার বুক কাঁপিয়ে দেবে। নাসার,Russian horrible sleep test story. Your chest will tremble. NASA,

 এক জন রাশিয়ান বিজ্ঞানী একটি ঘরে ঢুকে, কিছু এক্সপেরিমেন্টাল মানুষকে দেখার জন্য, বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখবার যে সেই এক্সপেরিমেন্টাল মানুষগুলো আদৌ কি সুস্থ আছে বাপ বেঁচে আছে সেটা পর্যবেক্ষণ করা, কিন্তু ঘরে প্রবেশ করামাত্র বিজ্ঞানী অত্যন্ত ভয় পেয়ে যায় এবং তার সম্পূর্ণ ফেটে যায় সেই এক্সপেরিমেন্টাল মানুষগুলোর চিৎকারে, 5 জন মানুষ যাদের উপর এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন, সম্পূর্ণ মৃত ছিল, এবং তার শরীর সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন ছিল, কারণ সেই এক্সপেরিমেন্টাল মানুষগুলো প্রত্যেকে নিজের নিজের শরীরের চামড়া মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল, যেন মনে হচ্ছিল কোন অপ্রাকৃতিক শক্তির ওই ঘরে নিজেই বিরাজ করে রয়েছে, এমনকি তাদের হাত-পা থেকে মাংস ঝুলে ঝুলে ছিল, হাতের আঙ্গুলগুলো তে কোন রকম মাংস ছিল না, শুধুমাত্র হার দেখা যাচ্ছিল, তাদের মধ্যে কিছু মানুষের পেটের অর্গান গুলো বাইরে বেরিয়ে এসে ছিল |

শুধু তাই নয়, তাদের গলার চামড়া টুকুও খসে পড়ে ছিল,এই রকম পরিস্থিতি দেখবার পর রিসার্চাররা ভাবতে থাকে, এ মনটা কেন ঘুটছে , তাদের পর্যাপ্ত খাবার দেওয়ার পরেও তারা কেন নিজের শরীরের মাংস নিজেরাই খুবলে খুবলে খাচ্ছে, আসলে এই এক্সপেরিমেন্ট এরকম হওয়ার কথা ছিল না, তবে কেন এরকম রুপ, নিয়েছে, এক্সপেরিমেন্ট আপনারা হয়তো অলরেডী বুঝতে পেরেছেন, যে আমি রাশিয়ার সেই কুখ্যাত এক্সপেরিমেন্টের কথা বলছি, তবে প্রথমে আপনারা কমেন্ট করে বলুন তো আপনারা কয়জন মনে করেন যে রাশিয়ান স্লিপ এক্সপেরিমেন্ট আসলেই সত্যি ছিল, আজকের আমরা এই রাশিয়ান এক্সপেরিমেন্ট সম্বন্ধে অনেক বেশি তথ্য জানবো, এবং এই শেষে থাকবে সবথেকে বড় এই এক্সপেরিমেন্ট সম্বন্ধে তাই | 


শেষ পর্যন্ত দেখার অনুরোধ রইলো শুরু করা যাক 


1940 সালের শেষের দিকে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, তারা একটি গ্যাস আবিষ্কার করে ফেলেছে, যা কিনা মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, অর্থাৎ ক্লিপিংস তারা বানিয়ে ফেলেছে, যারা মানুষ অনেকদিন জেগে থাকতে পারে, বিজ্ঞানীদের মনে হয় এই আবিষ্কার যুগান্তকারী কারণ তারা মনে করেন এই দেশের মধ্যে যুদ্ধে একটা প্লাস পয়েন্ট পাওয়া যাবে, অর্থাৎ যারা যুদ্ধ করতে যাবেন তারা এই গাছের ব্যবহার করে দীর্ঘদিন জেগে থাকতে পারবে, এবং শুদ্ধ করতে পারবে এবং সৈনিকদের ঘুমানোর প্রয়োজন পড়বে না, রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা এই গ্যাস সম্বন্ধে সম্পূর্ণ কনফিডেন্ট ছিল, কিন্তু তারা এখনো পর্যন্ত কোনো মানুষের ওপর এই গ্যাসকে, পরীক্ষা করেনি, তাই তাদের প্রয়োজন ছিল কিছু মানুষের ওপর এই এক্সপেরিমেন্ট করা, আর এই পরীক্ষাটি করবার জন্য তখন মানুষের অভাব ছিল, না কারণ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যে সকল সেনারা, জেলে আটকে পড়েছিল তাদের মধ্যে কিছু মানুষের উপরে এক্সপেরিমেন্ট করা হবে ঠিক করা হয়, কিছুদিনের মধ্যেই 5 জন মানুষকে সিলেক্ট করা হয়, এই এক্সপেরিমেন্ট জন্য, আর যে পাঁচজনকে এই এক্সপেরিমেন্ট এর জন্য সিলেক্ট করা হয়, তাদেরকে বলা হয় যে তারা যদি স্বইচ্ছায় এই এক্সপেরিমেন্ট অংশগ্রহণ করেন, তাহলে এই এক্সপেরিমেন্ট শেষ হওয়ার পরে তাদেরকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হবে |



আর এটা বলার প্রয়োজন হয় না, যে মুক্তি পাওয়ার আশা কতটা তাই তারা স্বইচ্ছায় এই এক্সপেরিমেন্ট অংশগ্রহণ করে নেয়, এরপর পাঁচজন এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং সেই ঘরে একটি অলরেডি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন রাখা ছিল,সেখানে ছিল একটি বিছানা বাথরুম এবং বেসিন সেগুলো এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট ব্যবহার করতে পারে, এবং তাদের জন্য ছিল খাওয়ারও, এরপর আস্তে আস্তে ঘরটিতে গ্যাস প্রবেশ করানো হয়, যে গ্যাসকে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা বলতো স্লিপ কন্ট্রোল গ্যাস, ঘরটিতে ক্যামেরা কারণ ছিল যাতে এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট গুলো কে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করতে পারে, পাশাপাশি মাইক্রোফোন টা রাখা হয়েছিল ,এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টগুলো যদি কিছু বলতে চায় তাহলে ওই মাইক্রোফোনের মাধ্যমে কমিউনিকেট করতে পারবে, এছাড়াও ছিল, ওই ঘটিত একটি 5 ইঞ্চি উইন্ডোজ যদি কোনো কারণে ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যায় বা খারাপ হয়ে যায়, তাহলে ওই লিংকের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তাদের কে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, পরীক্ষার প্রথম 3 দিন| পরীক্ষার প্রথম তিন দিনের মধ্যে পাঁচজনই সচ্ছন্দে সেখানে ছিল এই তিন দিনে তাদের মধ্যে কোন বৈষম্য বিকৃতি লক্ষ্য করা যায় না | আর তারা এই তিনদিন সম্পূর্ণভাবে ছিল |এই ঘটনায় বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত খুশি হয় |কারণ কন্ট্রোল গ্যাস কাজ করছিল |একজন বিজ্ঞানী আর একজন বিজ্ঞানী কে বলে দেখো আমরা এমন কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছি যা সারা বিশ্ব জানবার পর |আমাদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে এবং কমরেড স্তালিন কত খুশি হবে |যেও এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট ওপরে আরো 30 দিন পরীক্ষা চালাবে |   


তাই তারা ওই এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টগুলো কে বলে যে |তোমরা যদি 30 দিন এইভাবে থাকতে পারো তাহলে তোমাদের মুক্তি দিয়ে দেওয়া হবে |এটা শুনে তারা আবারো রাজি হয়ে যায়| কারণ আমরা জানি একজন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক এর কাছে এটা অনেক বড় ব্যাপার |কিন্তু চার নম্বর দিন থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হতে শুরু করে |এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট গুলি 4 নম্বর দিন থেকে | যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি |বিভিন্ন ভয় এবং দুঃস্বপ্নের কথা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকে |

বিজ্ঞানীরা তৎক্ষণাৎ এই বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি |কারণ তারা মনে করে যে তারা নিজেদের মধ্যে নিজেদের দুঃখ গুলোকে শেয়ার করছে |এবং আনন্দ পাচ্ছে |কিন্তু 5 নম্বর দিন থেকে এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট গুলির মধ্যে সাইকোলজিকাল দেখা যেতে শুরু করে |তারা নিজেদের সাথে নিজেরা কথা বলতে থাকে |এমন কারো সাথে কথা বলতে থাকে যাদের অস্তিত্ব এই পৃথিবীতে নেই |সহজ কথায় বলা যেতে পারে |তারা হাওয়ার সাথে কথা বলতে থাকে |এমনকি একজন এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট বাকি চারজন এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট এর গল্প মাইক্রোফোন এর মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক শুনাতে থাকে। এই ঘটনার পর রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের ধারণা হয় যে .এটাই হলো।ঘুমানোর সাইড এফেক্ট ।5 দিন পর থেকে তাদের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে ।কারণ তারা হ্যালুসিনেট করতে শুরু করে ফেলে ।শুধু হ্যালুসিনেট ই নয় তারা হ্যালুসিনেশন কে বাস্তব বলে মনে করে নেয।যেমন তারা অনেক ভয়ানক জিনিস দেখব। এবং সেই এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট ঝুলি ভয়ানক জিনিস গুলো সত্যি বাস্তব বলে মনে করে নিত |


এই অর্থে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছেন |না তাদের হ্যালুসুলেশন এর আসল কারণ কি| না ঘুমানো নাকি | ক্লিপিং কন্ট্রোল গ্যাস আস্তে আস্তে বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়| যে সেই ক্লিপিং কন্ট্রোল আসল কারণ এই হ্যালুসিনেশনের কিন্তু এখানে বিজ্ঞানীরা এক্সপেরিমেন্ট শেষ করেনি |তারা এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যেতে থাকে|আর নবম দিনের এক অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় |এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট গুলির মধ্যে একজন অত্যন্ত জোরে চিৎকার করতে থাকে |অত্যন্ত কথার অর্থ হল অত্যন্ত অত্যন্ত জোরে |যদি এই চিৎকারের শক্তিও আপনারা বুঝতে সক্ষম হন |তাহলে এইটুকু জেনে রাখুন |এই চিৎকার যে এক্সপেরিমেন্টের সাবজেক্ট ছিল |তার ভোকাল কর্ড ছিড়ে যায় |এবং সে কিছুদিন কথাই বলতে পারে না |এইভাবে আরও কিছুদিন চলতে থাকে তারপরে হঠাৎ একদিন ঘর থেকে কোনো রকম আওয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায় |মানে এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট পুরোপুরি সাইলেন্ট হয়ে যায় ঘটিতেছে |ক্যামেরাটি লাগানো ছিল সে ক্যামেরাটি থেকেও তাদেরকে দেখা যাচ্ছিল না |কিন্তু বিজ্ঞানীরা সিওর ছিল |যে তারা বেঁচে আছে |কারণ অক্সিজেন ইন্ডিকেটর তখন কাজ করছিল |এবং বোঝা যাচ্ছিল যে 5 জনের মধ্যে 5 জন জীবিত অবস্থায় রয়েছে |এই অবস্থায় কই ঘরটিতে কাউকে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে |কিন্তু বিজ্ঞানীরা সেটা চাইছিল না |কারণ সেই ঘরে গেলেন কোন সময় কোন কিছু ঘটে যেতে পারে |তা বিজ্ঞানীরা জানত কিন্তু অপরপক্ষে সেই ঘরে গিয়ে পর্যবেক্ষণ না করা ছাড়া তাদের কাছে আর কোন উপায় ছিল না |তাই বিজ্ঞানীরা মাইক্রোফোন এর মাধ্যমে |

অ্যানাউন্সমেন্ট করে যে |আমরা মাইক্রোফোন টেস্ট করার জন্য দরজা খুলেছি |তোমরা দরজার সামনে থাকলে |দূরে সরে যাও |এবং মাটিতে শুয়ে পড়ো |যদি কেউ দাঁড়িয়ে থাকো তাহলে দরজা খোলা মাত্র তাকে গুলি করে দেওয়া হবে |এবং তোমরা সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়ে যাবে |সহজ কথায় |

বিজ্ঞানীরা তাদেরকে যাতে তারা একটি যেকোনো নির্দিষ্ট অবস্থানের শুয়ে থাকে |এবং যাতে কোন বৈজ্ঞানিক এর কোনো ক্ষতি না হয় |কিন্তু অবাক করার মত ব্যাপার হল |


সেই সময় মাইক্রোফোন থেকে |ঐ ঘর থেকে একটি রিপ্লাই আসে |তাদের মধ্যে একজন বলে যে আমরা মুক্তি চাই না |এই কথা শুনে বৈজ্ঞানিকরা |অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়ে |তারা প্রথমত মনে করে যে হয়তো তারা পাগল হয়ে গিয়েছে |কিন্তু তারপর তারা একটু রিচার্জ করে বুঝতে পারে |যে তারা আসলে ঐ টিপ কন্ট্রোল গ্যাসের উপর আসক্ত হয়ে পড়েছে |যে কারণে তাদের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন বোধ হচ্ছে না |তারা ওই ঘরে বসে ক্লিপ কন্ট্রোল গ্যাসকে নিজেদের মধ্যে নিয়ে নিতে চাইছে,  এটা বোঝা মাত্রই |বিজ্ঞানীরা তখনই ডিশিসান নিয়ে নেয় |যেই ঘরের দরজা খুলতে হবে এবং তাদেরকে ওখান থেকে বার করে আনতে হবে |এরপর বিজ্ঞানীরা তৎক্ষণাৎ চেম্বারটি দরজা খুলে দেয় |এবং সম্পূর্ণ স্লিপ কন্ট্রোল গ্যাস  সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে |


এবং ফ্রেশ হাওয়া প্রবেশ করে ।এই ঘটনা ঘটে ওই এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টগুলো চিৎকার করে |এবং বলে আমাদেরকে স্লিপিং কন্ট্রোল গেম দাও |আমরা কোন রকম ফ্রেশ হাওয়া চাই না |যদি সেটা না দেয়া হয় তাহলে খুব খারাপ হয়ে |যাবে বিজ্ঞানীরা তৎক্ষণাৎ দরজাটি বন্ধ করে দেয় |এবং কোনরকম রিক্স রাখে না |মানে 15 দিনের মাথায় আবার দরজাটা খোলা হয় |এবং সেখানে প্রবেশ প্রবেশের পর দেখা যায় যে |একজন মৃত অবস্থায় রয়েছে এবং বাকি চারজন নিজেদের মাংস নিজেরা খুবলে খুবলে খাচ্ছে |তারা প্রায় প্রত্যেকেই আহত অবস্থায় ছিল |তারা তাদের দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল তাদের মধ্যে একজনের বুকের চামড়ায় ছিল না |একজনের তো অর্গান মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে | একজন তো নিজের অর্গানিক ছিল |তাদের প্রত্যেকের মিলিয়ে অনেকগুলো অর্গান মাটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল |যেমন বাচ্চারা বই-খাতা মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে |ঠিক তেমনি এবং তাদের প্রত্যেকেরই শিলা থেকে রক্তপাত ঘটছে |যা দেখে বিজ্ঞানীরা তৎক্ষণাৎ ব্যক্তিকে আহবান করে তাদেরকে সাথে সাথে অপারেশন না করা হলে তারা মরেই যাবে |অপরদিকে বিজ্ঞানীরা তাদের কাছে গিয়ে উদ্ধার করতে ভয় পাচ্ছিল |সেই কারণে তারা দরজা বন্ধ করে চলে আসে |এবং চলে আসার পরেই সেই এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টগুলো আবারও চিৎকার করতে থাকে ক্লিপিং কন্ট্রোল গ্যাসের জন্য |এরপর রাশিয়ান সেনাবাহিনী সেখানে উপস্থিত হয় |



তাদের কেউই চেম্বার থেকে উদ্ধার |এবার তারা সেই চেম্বার থেকে তাদেরকে উদ্ধার করতে যাওয়ার সময় |তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় |একজন এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট একজন সেনার |কলাটুপি ছেড়ে দেয় |একজন তো একটি সেনার পুরুষাঙ্গ ছেড়ে দেয় |এই ঘটনায় ওই চেম্বারে সেনাবাহিনীর পাঁচজন মারা যায় |তাদেরকে বাইরে আনার সাথে সাথে ডাক্তারেরা তাদের শরীরে মরফিন ইনজেকশন করে |কিন্তু বেশি পরিমাণে মরফিন ইঞ্জেক্ট করার পরেও তারা দস্তুরমতো লড়াই করছিল |সেখানে তাদেরকে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত ছিল |এছাড়াও একজন এক্সপেরিমেন্টের সাবজেক্টের হার্টবিট থেমে যাওয়ার পরেও তার চিৎকার থামেনি |সে বলে যাচ্ছিল আই নিড গ্যাস |এর পর বেঁচে ছিল মাত্র তিনজন |এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট তাদের মধ্যে একজনকে ডাক্তারে অপারেশন টেবিলে নিয়ে যায় |যাতে তার মিসিং অর গুলো আবারও জোড়া লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে |তখন ডাক্তাররা তাকে এনেসথেসিয়া দেয় এবং সে তখনই মারা যায় |এরপর ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেয় |যে বাকি এক্সপেরিমেন্টাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না তাদেরকে জীবিত অবস্থায় সেলাই করা হবে |এরকম অবস্থায় একজনকে অপারেশন টেবিলে তোলা হয় |এবং তাকে সেলাই করতে শুরু করে দেওয়া হয় |কিন্তু অবাক করার মত ব্যাপার হল |তাকে জীবিত অবস্থায় সেলাই করার পরেও তার কোনো রিয়্যাকশন হচ্ছিল না |মানে তার কোন বেদনা ব্যথা হচ্ছিল না |কিন্তু তার থেকেও অবাক করার মত ব্যাপার হল |



ওখানে একটি মেয়ে দিকে তাকিয়ে ছিল .আর শুধু তাই নয় তার পুরুষত্ব জেগে উঠেছিল .এর থেকে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না .আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যাইহোক এরপরে ওই এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টিভ বিড়বিড় করে কি বলার চেষ্টা করছিল .এটা দেখার পর নাচটি তার হাতে একটি পেইন দেয় .এবং নার্স তিনি যে একটি নোটপ্যাড তার সামনে ধরে যাতে সে কি লিখে বোঝাতে চাই |যে সে কি বলতে চাইছে |তখন ওই এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট বলল ।


কাটতে থাকুন ।এটা দেখার পরে তার কাছে জানতে চাইছে সে কেন এই রকম বার্তা লিখেছে ।তখন তার উত্তরে এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টিভ বলে যে এটা আমাকে জেগে থাকতে সাহায্য করবে |এটা শুনবার পর নার্সটি হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং ভয় পেয়ে ওই পাগল বলে সেই অপারেশন টেবিল ট্যাগ করে |এরপরের সাবজেক্ট কেউ উপরেও অপারেশন করা হয় |এবং জীবিত অবস্থায় তার ওপর স্যালাইন চলছিল |এই সেলাই করার সময় অত্যন্ত শান্ত  |যেন তার কোনোটাই হচ্ছেনা বরং তার সুরসুরি লাগবে |এরপর সেখানে একজন রাশিয়ান কেজি কমান্ডো অফিসার আসেন |এবং অর্ডার দেন যে বেঁচে থাকা দুইজন সাবজেক্টের উপর আবারও সেই এক্সপেরিমেন্ট করা হোক |


অর্থাৎ তাদের আবারো বন্ধ করে দেওয়া হোক |কমান্ডোর কথা কেউই সেখানে ফেলে দিতে পারে না |তাই তারা আবারও সেই সাবজেক্ট দুটিকে আবারো কেবিনে বন্ধ করে দেয় |দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন সাবজেক্টের ব্রেইনের ডিস্ফাংশন দেখা দেয় |এবং সে তৎক্ষণাৎ মারা যায় |এ ঘটনার পরে ওই কমান্ডো অফিসার এবং তিনজন বিজ্ঞানী নিয়ে কেবিনে প্রবেশ করে |


এবং কমান্ডো অফিসার বেঁচে থাকা সাবজেক্ট দেখে বলে তার উপর আবারও এক্সপেরিমেন্ট করা হোক |এটা শোনার পর সেখানে থাকা একজন বিজ্ঞানী দুজনকে |অর্থাৎ কমান্ডো অফিসার কে এবং পড়ে থাকা এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টে |একটি একটি করে দুটি গুলি করে |এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে তাদের দুজনেরই সম্পূর্ণ প্রাণ না যায় |তখন বিজ্ঞানী টি বলে আপনি যদি আরেকবার এরকম অর্ডার দেন |এরকম এক্সপেরিমেন্ট করবার কথা বলেন |তাহলে আপনাকে এবং এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টকে এই ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হবে |আর এইরকম কথোপকথন দেখে |এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টিভ প্রচন্ড জোরে হাসতে থাকে | তখন বৈজ্ঞানিক রেখে তাকে বলে যে তুমি কেন হাসছো এবং তুমি কেন এরকম অফ প্রাকৃতিক ভাবে হাসো তুমি কে |কখনোই এক্সপেরিমেন্টের সাবজেক্টিভ বলে |তোমরা আমায় ভুলে গেলে এত তাড়াতাড়ি |আমি তো তোমাদের সেই অন্ধকার অংশটি |আমি তোমাদের সেই পাগলামো |চেয়ে প্রতিমুহূর্তে তোমাদের মস্তিষ্ক থেকে বাইরে আসতে চায় |এবং সম্পূর্ণ মুক্ত হতে চায় |এমন কঠিন এবং ভয়ঙ্কর উত্তর শুনে বিজ্ঞানীটি এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্টই কে তার বুকের মধ্যে একটি গুলি করে |এবং সেগুলি খাওয়ার পর শেষ এক্সপেরিমেন্টের সাবজেক্টিভ মারা যায় |এবার আপনারা বলুন তো যে আপনাদের মধ্যে কে কে বিশ্বাস করেন |এই এক্সপেরিমেন্টাল ঘটনাটি আসলেই সত্যি আমি জানি আপনারা অনেকেই এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট এর সম্বন্ধে আগে শুনেছেন এবং এটাকে বিশ্বাসও করেন |


কিন্তু যারা যারা এই গল্পটি কে ভাল করে শুনেছেন |তারা অলরেডী বুঝতে পারবেন যে এটি একটি ভুয়া কাহিনী |গল্প সেটা বোঝার জন্য খুব একটা খাঁটি প্রয়োজন হয়না |চলুন একটু সেক্সুয়াল ভাবে এটাকে আলোচনা করা যাক | প্রথমত আমি যখন বলেছিলাম যে একজন এক্সপেরিমেন্টাল সাবজেক্ট হৃদপিণ্ড বন্ধ হওয়ার পরেও চিৎকার করছিল |এটা কি আদৌ সম্ভব |কোন মানুষ ও জীবজন্তুর হৃদপিণ্ড থেমে গেলে সে আর চিৎকার করতে পারে না |আসলে সে মারা যায় |এছাড়াও আসল বৈজ্ঞানিকদের মতে এখনও অব্দি এমন কোন গ্যাস নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি |যা কিনা মানুষকে 15 দিন অব্দি জাগে রাখতে পারে |


একটি মানুষ সাধারণত 36 থেকে 48 ঘণ্টার মধ্যে |নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে |হয়ত তারা দুইদিন সম্পূর্ণভাবে জেগেও থাকতে পারে |কিন্তু তার বেশি নয় |আর এখানে লেখক এই গল্পটি খুব শিগ্রই এক্সপেরিমেন্ট বলে আখ্যা করেছিলেন |কিন্তু দেখা গেছে এই পৃথিবীতে কোন স্থানে এরকম সিক্রেট এক্সপেরিমেন্ট করা হয়নি |অর্থাৎ এটা বলা যেতেই পারে |যে রাশিয়ান স্লিপ এক্সপেরিমেন্ট আসলে ভুয়ো । 

এক্সপেরিমেন্ট রূপে সারাবিশ্বে বিখ্যাত |কিন্তু আপনি হয়তো বলতে পারেন ।যে মানুষের ইনসোমনিয়া বলে একটি রোগ হয়ে থাকে |যেখানে মানুষ একাধিক দিন জেগে থাকে |কিন্তু আসলে ইনসোমনিয়া রোগে মানুষ জেগে থাকে না |তারা মনে করে তারা জেগে আছে |কিন্তু তারা নিদ্রায় থাকে |অর্থাৎ এই রোগে একজন প্রেসেন্ট স্লিপ লাইক কন্ডিশনে থাকে |আর বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যদি কোন মানুষ 24 ঘন্টা থেকে বেশি জেগে থাকে |তাহলে সে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ইন্যাক্টিভ হয়ে পড়ে |আর তাছাড়াও ইনসোমনিয়া তে কোন রোগে নিজের শরীরের চামড়া নিজে কুরে খায় না |তবে হ্যাঁ |এই রাশিয়ান স্লিপ এক্সপেরিমেন্ট এর বিবরণ বর্ণনা একটি ওয়েবসাইটের বর্ণিত রয়েছে |যে ওয়েবসাইটটি বিখ্যাত মনগড়া কাহিনী জন্য |একটু ভালো করে শুনবেন এই ওয়েবসাইটটি বিখ্যাত হয়েছে মনগড়া কাহিনী জন্য |


No comments

Theme images by Silberkorn. Powered by Blogger.
ad