jonathan james jewellery,

15 বছর বয়সী সম্বন্ধে বলব যার জীবনের গল্প, একটি হলিউড সিনেমার থেকেও কম নয় আপনারা হয়তো প্রায় সবাই ফেসবুক হ্যাকিং ই-মেইল হ্যাকিং এবং ব্যাংক রডের মতন ঘটনা শুনেছেন, এবং দেখেছেন কিন্তু আমি যদি আপনাকে বলি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পৃথিবীর সবথেকে সিকিউরিটি এজেন্সি ন্যাশনাল নাসার ও ছাড় পায়নি,তবে কি আপনাদের সেটা বিশ্বাস হবে সাইবার সিকিউরিটি সবথেকে বড় এক্সপার্ট সিস্টেম কি দেখাশোনা করে এবং প্রপার মেইনটেইন করে কিন্তু তবুও হাজার 1999 সালে নাসার সঙ্গে এমন একটা ঘটনা হয়েছে তাদেরকে 21 দিনের জন্য সমস্ত সিস্টেমকে বন্ধ রাখতে হয়েছিল আপনারা যদি এতে অবাক না হন তবে আর একটা কথা বলি এইসব ঘটনার পিছনে একজন 15 বছর বয়সী জনাথন জেমস নামের একটি ছেলের হাত ছিল  |



একটি পারফেক্ট এন্টারটেনমেন্ট সিনেমার মতো জোনাথনের এই গল্পটা আছে সাসপেন্স ও আছে আবার এক দফা মৃত্যু হয়েছে আপনারা কি জানতে চান কিভাবে 15 বছর বয়সী ছেলেটি নাসার, সিস্টেমকে হ্যাক করেছিল তারপর তার সঙ্গে কি কি ঘটেছিল |



ঘটনার শুরু হয়েছিল যখন আমেরিকায় কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সবে শুরু হয়েছিল, সেই সময় বহু লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল, তার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চারাও ইন্টারনেট দুনিয়াতে নতুন কিছু খোঁজার চেষ্টা করতে থাকতো, সেই সব বাচ্চাদের মধ্যে একজন ছিল জনাথন জেমস, সে কিনা সেই সময় 15 বছর বয়সী ছিল, এবং কম্পিউটারের দুনিয়াকে বোঝার চেষ্টা করছিল,


মনে করা হয়েছে এই বাচ্চাটির বুদ্ধি সেই সময় তার বয়সী অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় অনেক বেশি ছিল, দেখতে দেখতে চোষন কম্পিউটারের উপর এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ে, যে তার পেরেন্টস তারই আসক্ত হওয়ার কারণে আতঙ্কিত হতে থাকে, এবং এই কারণে যখন তারা জেমস এর কাছ থেকে তার কম্পিউটার কেড়ে নেয়, তখন জেমস তার ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় আর, কম্পিউটার ফিরিয়ে দেওয়ার শর্ত পেয়েছে আবার বাড়ি ফিরে আসে সোর্সকোড ও গ্রামীণ এবং কমান্ড এইসব বিষয়ে পড়তে পড়তে এসে ধীরে ধীরে হ্যাকিং এর দিকে আকৃষ্ট হয়, এবং কিছু সময় পর সে প্রকার হ্যাকিং শুরু করে দেয় ,হ্যাকিং এর জগতে এসে তার নাম অন করে রেখে দেয় |


কমরেড নিজেরেই নাম কে নিয়ে এসে হ্যাকিং দুনিয়াতে প্রথম পা রাখে, আর হ্যাকিংয়ের জন্য প্রোগ্রাম বানানোর শুরু করে দেয় ,প্রথমে কিছু ইনস্টিটিউশন এবং স্কুল সিস্টেম হ্যাক করার পর জেমস কিছু নতুন এবং বড় করতে চাইছিল, সবথেকে অবাক করার বিষয় এটাই যে হ্যাকিং বাধ্য হয়ে করে না বরং তার বিনোদনের জন্য করে কিছু বড় করবার জন্য সে সোজা নাসার সিস্টেমকে হ্যাক করার পরিকল্পনা করতে থাকে, এটার জন্য জেমস এমন প্রোগ্রাম বানানো শুরু করে যেটার সাহায্যে সে নাসার সিস্টেমে খুব সহজেই ঢুকতে পারে, জেমস এর বেশী সময় লাগেনি সে খুব তাড়াতাড়ি এইরকম একটি প্রোগ্রাম বানিয়ে ফেলে ছিল |


এবার শুধু অপেক্ষা ছিল ওই প্রোগ্রামটির টেস্ট করবার সর্বপ্রথম জেমস এই প্রোগ্রাম টিকে একটি লোকাল স্কুলে এবং একটি শপিং মলের ট্রাই করে, এবং তার টেস্ট রান সম্পূর্ণ সফল হয় যে কারণে তার এক্সাইটমেন্ট লেভেল ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকে, এই প্রোগ্রামের দরুন জেমস এবং শপিংমলে কম্পিউটার নিজের ইচ্ছা মত পরিচালনা করতে পারতো এবং সে কম্পিউটার থেকে 5 পর্যন্ত সরিয়ে নিতে পারত, পরবর্তী তদন্ত থেকে জানা যায় যে ওই দুটো সিস্টেম থেকে জেমস কিছু লোকের গোপন তথ্য বের করে নিয়েছিল, তারপর প্রোগ্রামিং একদম সঠিক থাকার কারণে এবার সে ধীরে ধীরে নাসা সিস্টেমের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে, এবং সে তার প্রোগ্রামটিকে নাসার কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকিয়ে দেয় এবার এটাকে সেই সময়ের নাসার সিকিউরিটি দুর্বলতাও ভাবতে পারেন, আবার জেমসের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি কারণে বলতে পারেন, সে যাই হোক জেমস এর প্রোগ্রাম নাসের সার্ভারে সঠিক ভাবে, এক্সিকিউট হয়ে যায়, আর এবার সে নাসার মতন একটি হাই সিকিউরিটি এজেন্সির এটাকে এক্সট্রা করতে পারত বলা হয়েছে |


জেমস শুধুমাত্র সিস্টেমে খামেনি নাসার সিস্টেমেটিক সফটওয়্যার চুরি করেছিল, যে তার দাম 1.7 মিলিয়ন ডলার ছিল, সেই সময়কার এগুলো ছাড়াও জেমসের হাতে ছিল ইন্টারনেট স্পেস, স্টেশনের এমন একটি সোর্সকোড যেটার সাহায্যে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন এর টেম্পারেচার ইমিউনিটি কন্ট্রোল করা হতো, কিন্তু জেমস বুঝতে পারেনি যে সে অজান্তে একটি সিরিয়াস করে ফেলেছিল ,অবাক করার বিষয় এটাই যে প্রথম দিকে না সেটা বুঝতে পারেনি, যে তাদের সিস্টেম কি কেউ হ্যাক করে রেখেছে যদিও কিছুদিন পর যখন একজন এক্সপার্ট নিজের সিস্টেমের একটু পরিবর্তন দেখে, তখন তাদের সবার সিস্টেমকে সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হয়েছিল, যার পড়ে প্রায় 21 দিন ধরে নাসার ডিম এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে, এবং এটা জানার চেষ্টা করে যে এই হ্যাকিং এর পেছনে | 


সোর্সস টাকি আর না ছাড়ি কম্পিউটার গুলো থেকে ঠিকই চুরি হয়েছে এই পর্যবেক্ষণ চলাকালীন তাদের 21 দিনে প্রায় 41 হাজার ডলারের ক্ষতি হয়েছিল, জেমস ভেবেছিল হয়তো সে না তারিখে বোকা বানানোর সফল হয়েছিল, বোকা বানাতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু সেটা জানত না যে সেখানে বসে থাকা লোক গুলো পৃথিবীর সবথেকে বেস্ট সাইবার এক্সপার্ট ছিল, যারা আজ নয়তো কাল তাকে ঠিক খুঁজে বার করবে, হ্যাকিংয়ের নেশায় মত্ত হয়ে থাকা জেমস না তারপর আরো বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো কে হ্যাক করতে থাকে, হাজার 1999 সালের অক্টোবর মাসের দিকে জনাথন জেমস ডিফেন্স রেট্রেকশন এজেন্সির কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কেউ হ্যাক করে ফেলে, এখান থেকে দশটি কম্পিউটার থেকে মিলিটারিদের বিভিন্ন জরুরি মিলস এবং এমপ্লয়ীদের ইউজারনেম পাসওয়ার্ড চুরি করে, ফেলে ডিফেন্স রেড্রেসাল এজেন্সি আসলে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স এর একটি সংস্থা যেটা আমেরিকাকে পরমাণু রাসায়নিক পারম্পরিক এবং বিশেষ হাতিয়ার এর সঙ্গে জুড়ে থাকা বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে আর এমন সংস্থা হ্যাক হবার পর সবাই মনে করে যে হয়তো এটা কোন বড় হ্যাকার গ্রুপের কাজ |



সে কারণে তাদের খোঁজ করার জন্য আমেরিকার বিশেষ ডিফেন্স সিস্টেম এবং গোপন এজেন্সিগুলো কাজ করতে শুরু করে দেয়, সবার মনে একটাই ভয় ছিল যে এরা যদি না তার কাছে পৌঁছাতে পারে তাহলে তারা এরপর আরো এরকম ভাবে প্রায় এক সপ্তাহ পর গোপন এজেন্সিগুলোর জেমসের বানানো প্রোগ্রামটিকে শেষমেষ খুঁজে বের করে ,এই প্রোগ্রামটি কিভাবে কাজ করে সেটা বোঝার পরোটার সাহায্যে আকারকে খোঁজা শুরু করে দেয়া হয়, আর যেরকমটা আমি আগেই বলেছিলাম পৃথিবীর সবথেকে বেস্ট সাইবার এক্সপার্টরা |


না সাথে কাজ করতো তাই এদের থেকে কোনোভাবেই বাঁচা সম্ভব ছিল না তাই কিছু সময় পরেই নাচা অপরাধী কাছে পৌঁছে যায় উনারা বুঝতে পেরেছিল জেমস তার বাড়ি থেকেই নাসার সিস্টেমে প্রোগ্রামটি আপলোড করেছিল তাই তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে যায় কিন্তু অপরদিকে জেমস জানতোই না যে তার সঙ্গে কি হতে চলেছে এবং একদিন হঠাৎ করে তার বাড়িতে পুলিশ চলে আসে 2000 সালের 26 শে জানুয়ারি তে


অবশেষে এবং কম্পিউটার অফ করার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং যেহেতু তার বয়স 18 বছরের নিচে ছিল তাই তাকে কোর্ট থেকে সাত মাসের জন্য ফ্লোরিডা ডিটেনশন সেন্টারে রাখার সাজা দেওয়া হয় ,এবং এর সঙ্গে তাকে কোনরকম কম্পিউটার এর কাছাকাছি আসা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যেহেতু সে সেই সময় নাবালক ছিল,তাই তার সাজা অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু গল্পে তুমি যখন আসলো যখন প্রগ্রেশন টেস্টের সময় তার শরীরের ট্রানস্ফের চিহ্ন পাওয়া যায়, যে কারণে তাকে আবার ছয় মাসের জন্য অ্যালবাম মিলিয়ন ফ্যাসিলিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, অবাক করার বিষয় এটাই যে 16 বছর বয়স পর্যন্ত জেমস একা প্রথম নাবালক ছিল যাকে সাইবার হ্যাকিংয়ের অপরাধে এরেস্ট করা হয়েছিল, যদিও এরপরে জেমস এইসব কোম্পানির কাছে ক্ষমা চায় |


যাদেরকে হ্যাক করেছিল আপনি হয়তো এটা ভাবছো যে হয়তো গল্পটা এখানেই শেষ, কিন্তু তা নয় কারণ গল্পের ক্লাইম্যাক্স তো এখন আসবে এই ঘটনার পর জেমসের জীবনটা খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল, এবং সে ধীরে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছিল সবাই তাকে শুধু ক্রিমিনাল এর মতই ট্রিট করত, এমনকি গোপন এজেন্সিগুলো তার উপর সবসময় নজর রাখে, কিছু সময় পর আমেরিকাতে আবারো একটি বিশাল বড় লেভেলের হ্যাকিং এর ঘটনা সামনে আসে, আর এইবারও হ্যাকিংয়ের কায়দাটা ঠিক একই রকম ছিল সেরকমই জনাথন জেমস করতো, এমন সময় সুরক্ষা এজেন্সিগুলোর মাথায় সর্বপ্রথম জেমসের কথাই আসে যার ফলে সুরক্ষা এজেন্সিগুলো কোন রকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই |



জোনাথন বাড়িতে রেট করে, যদিও সেই সময় তাঁর ঘর থেকে হ্যাকিং এর বিষয়ে কোনো রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি, সে কারণে তাদের খালি হাতে ফিরে যেতে হয়,কিন্তু হ্যাঁ তাদের সন্দেহ তখনও জেমস এর উপরে ছিল, বলা হয় যে এই রিটের পয়েমস সবসময় থাকত, আর ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে গিয়েছিল, সে সবসময় ভাবো তো হয়তো তার আগের অপরাধের কারণে তাকে আবার গ্রেফতার করে নেয়া হবে, কিন্তু সে দ্বিতীয়বার আর জেলে যেতে চাইছিল না, আর ঠিক দু সপ্তাহ পর খবর আসে জেমস আত্মহত্যা করে ফেলেছে |


তার নিজের বন্দুক দিয়ে, নিজেকে গুলি করে ফেলেছে মৃত্যুর আগে জেমস একটি পাঁচ পা তার সুইসাইড-নোট লিখেছিল, তার মৃত্যুর এক বছর পর তার বাবা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছিল, সুইসাইড লেটার এসে লিখেছিল ,যে সে আইন ব্যবস্থার উপর কোন ভরসা করে না, হয়তো আজকে আমার এই মেসেজটি পাবলিকের কাছে একটি স্তন মেসেজ হয়ে দাঁড়াবে, কিন্তু আমি এই সিচুয়েশন থেকে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি, আর এর থেকে রিকভার হওয়ার জন্য আমার কাছে আর কোনো রাস্তা নেই এটা কারো হাট কিংবা যে তার সম্পর্ক নয় বরং এটা আমার হার এবং সে তার সম্পর্ক যে ক্রাইম তা আমি নিজে করি নি ,অথচ সেই টাইমে ফাঁসিয়ে কারোর কি লাভ হবে,এখানে তো আমি জিতব না বরং আমি হারবো |


তার থেকে বরং আমার মুক্ত হয়ে মরে যাওয়া ভালো, তো বন্ধুরা এটা হলো পৃথিবীর ইয়াংয়েস্ট এবং ইন্টেলিজেন্ট হ্যাকারের দুঃখ ভরা গল্প ,এটা সত্যি যে জেমস ভুলবশত কিছু খারাপ কাজ করে ফেলেছে, এবং এটাও সত্যি যে এটা খুব অপরাধমূলক কাজ ছিল ,কিন্তু জেমসের এই গল্পটি পৃথিবীর সবথেকে সিকিউরিটি গুলোকে নিয়ে অনেক কিছু এক্সপ্রেস করে দিয়েছে |



যেমন নিজে বলেছিলেন যে সরকার নিজের কোম্পানিতে সুরক্ষার জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়, না সরকারি সিস্টেমগুলিতে সিকিউরিটি অনেক কম ,যেটা যে কেউ হ্যাক করে নিতে পারবে,যদিও জেমসের কথার পর ,সেই সব সিস্টেমগুলিতে সিকিউরিটি সম্পর্কে অনেক আপডেট করা হয়, যেটা কে জেমসের হ্যাকিংয়ের কারণ ,এই একটি পজিটিভ দিক বলে ধরা যেতে পারে, জেমসের বাবা জেমস যিনি নিজেই একজন প্রোগ্রামার ছিলেন, উনি একটা ইন্টারভিউ তে বলেছিলেন যে কোন কোন সময় তার মনে হয় তার ছেলে কতটাইনা জিনিয়াস ছিল আবার কোনো কোনো সময় তিনি এটা ভাবেন যে তিনি কত বড় বোকা কেইনা পৃথিবীতে জন্ম দিয়েছে জনাথন জেমস, এর থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে জীবন যে কোন সময় যে কোন দিকে ঘুরে যেতে পারে |

উদাহরণস্বরূপ জেমস নিজের বিনোদনের জন্য যেটা করেছিল সেটা শেষমেষ লাগে কোথায় নিয়ে চলে যায় জেমসের এই গল্পটি তারপর আপনার কী মতামত ইন্টেলিজেন্ট ছিল নাকি সে খুব বোকা ছিল কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন |


No comments

Theme images by Silberkorn. Powered by Blogger.
ad