১০০ কোটি বছরে কি কি হবে এই পৃথিবীতে

আপনারা কি জানেন আমাদের মানব সমাজ যখন 10000 বছর ফেলবে,তখন আমাদের এক বিশাল বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, আর এই সমস্যা বলতে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সুনামি কিংবা ভূমিকম্প নয়, বরং সাধারণ একটি ম্যাথমেটিক্যাল প্রবলেম এর জন্য হবে, আপনারা ঠিকই শুনেছেন কারণ আমরা যখন 10 হাজার বছর খেয়ে ফেলবে, তখন আমাদের প্রতিটা বছর রিপ্রেজেন্ট করতে চারটি ডিজিট নয় বরং পায়খানা ডিজিটাল প্রয়োজন হবে,এবার সমস্যাটা হচ্ছে যে পৃথিবী জুড়ে যত কম্পিউটার রয়েছে, এবং তার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে সবগুলি বছর ক্যালিব্রেশন, করবার জন্য চারটি ডিজিট কোড ইন ব্যবহার করে, এবার দুই দশ হাজার বছরে আরেকটি এক্সট্রা ডিজিট আসার কারণে প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস সেখানে প্রেজেন্ট করা হয়, সেগুলোর কোডিং চেঞ্জ করতে হবে, আর মিলিনিয়াম পার্ক বলা হয় তবে এতো গেল একটি সাধারণ প্রবলেম, যা পৃথিবীর 10 হাজার বছর পূর্ণ হলে দেখবো কিন্তু তার সাথে সাথে এই পৃথিবীতে কি পরিবর্তন হবে,10 হাজার বছরে চলুন আজকে সেই সকল প্রশ্নের উত্তর জানা যাক | 

10 হাজার বছর আস্তে আস্তে মানুষের মধ্যে থাকা জেনেটিক ডিফারেন্স যেমন আফ্রিকার লোক এদের গায়ের রং কালো আবার অন্যদিকে আমেরিকার লোকের গায়ের রং ফর্সা বা তাদের হেয়ার কালার আলাদা এই সকল ডিফারেন্স তখন আর দেখা যাবে না কারণ এই সকল ডিফারেন্স বা স্পেশালিটি আমাদের ভবিষ্যতের জেনারেশনের সমানভাগে ভাগ হয়ে যাবে আর 50 হাজার বছর আস্তে আস্তে পৃথিবীতে আরেকবার আই পেজ ফিরে আসবে মানে পুরো পৃথিবী সম্পূর্ণ বরফে ঢেকে যাবে আর্টিকেরিয়া কি রকম ঘটনা আজ থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ বছর আগে ঘটেছিল এই পৃথিবীতেই নায়াগ্রা ফলস যেটাকে আমরা বিশ্বের সবথেকে সুন্দরতম ওয়াটার ফলস হিসেবে জানি সেটাও |

10 হাজার বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে আর এত ঘটনা এবং এত বছর সময় কেটে যাওয়ার পর পৃথিবীতে একদিনে ডিউরেশন কেবল এক সেকেন্ড বাড়বে মানে পৃথিবীর সূর্যকে পুরো রাউন্ড ঘুরতে এক সেকেন্ড সময় বেশি নেবে আজ থেকে 5 লক্ষ বছর পর একটি এক কিলোমিটারের থেকে বেশি বড় ডায়ামিটার এস্টেরয়েড পৃথিবীর আসবে কিন্তু এটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাবে এটা বলা যেতে পারে না কারণ এতদিনে আমাদের মানব সমাজ এমন কোন টেকনোলজি নিশ্চয়ই বানিয়ে ফেলবে যেটা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোন এসিড এর হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়ে ফেলবে কিন্তু যদি এই অ্যাস্ট্রয়েড পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগে তবে যেখানে সেটি ধাক্কা লাগবে তার প্রায় 400 কিলোমিটার দূর পর্যন্ত সবকিছু ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে তাও মাত্র এক সেকেন্ডের মধ্যে |

এবার যদি এই ভয়ানক পরিস্থিতি থেকে আমরা বেঁচে যাই তবে তার থেকে ঠিক দশ লক্ষ বছর পর আমাদের মুখোমুখি হতে হবে এক বিশাল বড় ভলকানিক করাপশন মানে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের সামনে এবার আপনি হয়তো এটাই ভাবছেন যে এর থেকে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগা পৃথিবীর জন্য অনেক বেশি ভয়ানক হবে কিন্তু আপনাদের কে জানিয়ে দিচ্ছি যদি কোনো সুপার ভলকানিক করাপশন এই পৃথিবীতে হয় তবে এই পৃথিবীর বুক 30 হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ভলকানিক করাপশন থেকে উৎপন্ন কালো ধোঁয়া ছেড়ে যাবে আমাদের পৃথিবীর উপর একটি মোটা মেঘের চাদর বানিয়ে দেবে যেটা পৃথিবীর মধ্যে থাকে গরম কেলাতো বাইরে যেতে দেবে এবং নাতো পৃথিবীর বাইরে থেকে আসা কোনো হিট ভেতরে ঢুকতে দেবে যার ফলে এই পরিস্থিতিতে আমাদের মানব সমাজের বেঁচে থাকা কোনভাবেই সম্ভব নয় ঠিক এই রকম ঘটনা |

আজ থেকে প্রায় 70 হাজার বছর আগে এই পৃথিবীতে ঘটেছিল যে তাকে তওবা করার নামে জানা গিয়েছে এই দুর্ঘটনার ফলে পৃথিবীতে সেই সময়ে থাকা মানবসমাজের চিহ্ন মুছে দিয়েছিল আপনারা হয়তো বিদ্রোহ সম্বন্ধে কিছু না কিছু শুনেছেন সে যাই হোক 10 হাজার বছর পর এই গ্রহটি এক্সপ্লোরড হয়ে একটি সুপার্ণভা এক্সপ্লোশন তৈরি করবে যেটা আমরা দিনের বেলায় নিজেদের স্বচক্ষে দেখতে পারব আজ থেকে কুড়ি লক্ষ বছর পর মানুষ ততদিন নিজেকে এতটা এডভান্স টেকনোলজি নিয়ে ডেভলপ করে ফেলবে যে তারা এই পুরো সোলার সিস্টেমের বিভিন্ন গ্রহ তে নিজেদের বসতি করতে সক্ষম হয়ে যাবে যাতে আমরা শুধু পৃথিবী আর মঙ্গল গ্রহের উপর ডিপেন্ডেন্ট না থাকি এবার পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহ তে বসবাস করার ফলে যেকোনো প্যাসিফিক গ্রহে যে কোন অনুষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদেরকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শরীরের বায়োলজিক্যাল দিকটা অনেকটা পরিবর্তন করে ফেলবে |

এই মানবসভ্যতা এর ফলে প্রতিটা প্লানেটে থাকা মানুষদের দেখতে একই রকম নয় বরং আলাদা আলাদা দেখতে হবে এক কোটি বছর পর আফ্রিকার একটি বিশাল বড় অংশ টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়া কারণে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে পাঁচ কোটি বছর পর আফ্রিকা মহাদেশ ইউএসএ'র সঙ্গে চলে যাবে যার ফলে এর মাঝখানে তাকা সমুদ্রের অংশ মুছে যাবে এবং এই দুটি মহাদেশে ঝুলে যাওয়ার কারণে একটি নতুন পর্বতমালার সৃষ্টি হবে এবং অনুমান করা হয় যে এই পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্টের থেকে অনেক বেশি লম্বা হবে মহাকাশে থাকা মঙ্গল গ্রহ টি ততদিনে চাঁদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে যাবে যার ফলে মঙ্গল গ্রহ কিছুতে ভেঙ্গে গিয়ে শনি গ্রহের চারপাশে থাকা এর মতন নিজেরও একটি লিঙ্ক তৈরি করে ফেলবে 10 কোটি বছর পর এমনটা হতে পারে যে পৃথিবীতে এমন কোন অ্যাপ ট্রেনের মুখোমুখি হতে হবে এরকম একটা ডাইনোসরের অস্তিত্ব মেটানোর জন্য যথেষ্ট ছিল 25 কোটি বছর পর পৃথিবীতে থাকা সব কন্টিনেন্ট যেমন এশিয়া আফ্রিকা ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া একসঙ্গে মিলে গিয়ে কেবল একটি মাত্র কন্টিনেন্ট বানিয়ে ফেলবে এমন টা উচিত হয়েছে তখন পৃথিবীটাকে প্যানজিয়া বলা হতো এবং ভবিষ্যতে যখন এমনটা হবে তখন সেটাকে প্যানজিয়া আল্টিমা বলা হবে এই রকমটা কয়েক কোটি বছর পরে হয়ে থাকে এবং তার কয়েক কোটি বছর পর সেটা আবার আলাদা হয়ে যায় অর্থাৎ মহাদেশ গুলি আবারো আলাদা হয়ে যাবে ঠিক যেমন এখন প্রতিটা মহাদেশ আলাদা আলাদা ভাবে বিভক্ত রয়েছে ঠিক তেমন |

সাত কোটি বছর পর মহাকাশে আমাদের থেকে সাড়ে 6 হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি জিয়ার বিনা মে কামারিয়া বিস্ফোরণ হবে এবং যদি এই বিস্ফোরণের রেশ আমাদের পৃথিবী অব্দি চলে আসে তবে আমাদের পৃথিবী সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়ে আমাদের মানব সমাজের চিহ্ন সারা জীবনের জন্য মুছে দেবে এই সময় চাঁদ আমাদের পৃথিবী থেকে এতটা দূরে পৌঁছে যাবে যে সূর্য গ্রহণের মতন ঘটনা আমাদের দেখা কোনভাবে সম্ভব হবে না এই সময় সূর্যের আলোর দেশ আমাদের পৃথিবীতে এতটাই তীর্যক হয়ে যাবে যে আমাদের পৃথিবীর মাটির তলায় থাকা টেকটনিক প্লেটের মুভমেন্ট গুলোকে আটকানোর ক্ষমতা রাখবে |

80 কোটি বছর পর পৃথিবীর কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা এতটাই কমে যাবে যে গাছপালা কোনভাবে ফটোসিন্থেসিস করতে পারবে না অর্থাৎ গাছপালার খাদ্যই থাকবেনা আর 100 কোটি বছর পর সূর্যের নিয়মটি 10 পারসেন্ট বেড়ে যাবে যার ফলে পৃথিবীর অ্যাভারেজ টেম্পারেচার 47 ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে পৃথিবীতে কতগুলি মহাসাগর 2021 সালে মানে এখনও রয়েছে সেগুলো ততদিনে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাবে এবং পৃথিবীতে যদি কোন জায়গায় জল পাওয়া যায় তবে সেটা সাউথ গুলি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে |

ওয়ান বিলিয়ন বছর পর আমরা টেকনোলজিক্যাল দিক থেকে এতটা অ্যাডভান্স হয়ে যাব যে আমরা এতদিন টাইপ টু সিভিলাইজেশন গঠন করে ফেলব এমন সময় আমরা সূর্যের মতন নক্ষত্রের চারিদিকে একটি লাইসেন্স প্লেয়ারের নির্মাণ করে ফেলব যেটার সাহায্যে সূর্য থেকে বেরোনো সমস্ত প্রশ্ন আমাদের নিজের ইচ্ছা মতন ব্যবহার করতে পারব এই সময় মহাকাশে তাকে এসিডের মধ্যে থেকে জরুরি মিনারের নিয়ে পৃথিবীতে আসা আমাদের কাছে খুবই সহজ একটা ব্যাপার হবে এবার বাই চান্স |

যদি এতদিনে পৃথিবীর মানুষের থাকার জন্য না থাকে তবুও আমরা আমাদের সোলার সিস্টেমের থাকা অন্যান্য গ্রহগুলোকে আমাদের বসবাস করার মতন যোগ্য করে নিতে পারব যার ফলে মানব সভ্যতা এত প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও শেষ হবে |

 না আপনারা যদি পরবর্তী  সময়ের পেছনে যেতে চান তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক করবেন বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন পাশাপাশি নতুন হলে অবশ্যই বেল আইকনটিতে প্রেস করে নেবেন  পরবর্তীতে আমার ওয়েবসাইটে কিছু পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ |

আমি আর্টিকেলে কোন কমা নেই এ কারণে সবার কাছে দুঃখিত ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি একটু কষ্ট করে পড়ে নেবেন  ধন্যবাদ |

No comments

Theme images by Silberkorn. Powered by Blogger.
ad