What made the Black Death Plague so deadly, ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ এত মারাত্মক কি ভাবে হয়েছিল,
বর্তমানে আমাদের মানব সমাজ অনেক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, অসংখ্য প্রিয়জনকে আমরা এই সময় হারাচ্ছি কিন্তু এরকমই একটি রোগ 1347 খ্রিস্টাব্দে এসেছিল এবং পৃথিবীর 1-3 অংশ মানুষকে মেরে ফেলেছিল, অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় 200 মিলিয়ন মানে কুড়ি কোটি মানুষ এই রোগে মারা গিয়েছিল, আপনারা হয়তো অনেকেই বুঝতে পেরেছেন আমি কোন রোগের কথা বলছি হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমি প্লেগ এর কথা বলছি এই রোগে আক্রান্ত মানুষ এরা অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে মারা যেত, সেই সময়ে প্রত্যেকটি মানুষের প্লেগ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু কীভাবে এই মর্মান্তিক সমগ্র শেষ হলো কিভাবে জিতল মানব সভ্যতা. আজকে আমরা সেই সকল প্রশ্নের উত্তর জানবো,কোভিদ ভাইয়ের সাথে আমাদের লড়াই করার শক্তি যোগাতে পারে |
1347 সময় ফেমিনিস্ট গুটিবসন্ত এবং মুন্ডচ্ছেদ এর দ্বারাই মানুষ সাধারণত মারা যেত,বা প্রসবের সময় কম্প্লেকশন এর ফলে অনেক সময় স্ত্রী লোক ও শিশু মারা যেত আমরা এখনকার এই কোভিদ ভাইরাস সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি কিভাবে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল এর ভয়াবহতা কতটা সেটাও জানি এবং এই ভাই আজকে আমরা অনেক বেশি ভয়ানক বলেও আখ্যা দিচ্ছি,কিন্তু আপনারা যদি সেই সময়ের প্লেগ রোগের ভয়াবহতা জানেন তাহলে সত্যিই শিউরে উঠবেন,কিভাবে এই বুকের আগমন ঘটলো সবাই এই ভয়ানক প্লেগ রোগের কথা জানত এবং এই প্লেগ অন্যান্য প্লেগ এর থেকেও অনেক বেশি ক্ষতিকারক সেটা সবাই জানত এই রোগটি মিডিল ইস্ট এশিয়া অঞ্চল থেকে ছড়িয়েছে,এবং স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপীয়রা এর কথা জানতে পারা যায়,কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় ছিল যে ইউরোপে তখনও এই রোগ প্রবেশ করেনি,তারা সচ্ছন্দে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্য করছে এবং জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছিল |
যতক্ষণ না সানি লিওন বন্দরে গ্যালাক্সি থেকে বারটি জাহাজ আসে,সেই বন্দরের স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনের মত অনেক কাজ হচ্ছিল,তারপর জাহাজ থেকে কেউ নামছে না দেখে বন্দরে কার্যরত কিছু কর্মী জাহাজে উঠে পড়ে ওঠার পর তারা দেখে যে জাহাজে বেশিরভাগ মানুষেরই মৃত্যু হয়ে গেছে এবং কয়েকজন মাত্র বেঁচে আছে,তারা প্রায় অর্ধ মৃত তাদের সারা শরীর বড় বড় লাল রক্তের ফোসকার আবৃত ছিল,এবং তাদের শরীর প্রায় পৌঁছে যাচ্ছে এবং তাদের শরীরের পাশে প্রচুর মাছি উড়ছিল,এই দৃশ্য দেখে বন্দরের কর্মীরা কিছুই বুঝতে পারে না যেহেতু তারা কিছুই বুঝতে পারছি না,তাই ভয় পেয়ে তৎক্ষণাৎ তারা নেমে যায় এবং জাহাজগুলোকে দূর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়,কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই ছিল যে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল,এই রোগটি বন্দরে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ,হয়তো ভাবছেন এই রোগটি শুধুমাত্র জাহাজে উঠে কিছুক্ষণ কাটানোর জন্য ছড়িয়ে পড়েছে,হ্যাঁ আসলে,অব্দি মানব,ইতিহাসের সবচেয়ে ছোঁয়াচে রোগ,ওই জাহাজের যাত্রীদের সাথে এই ভুবনে প্লেগ এর বাহক মাছি ইঁদুর এসেছিল,যাদের দ্বারা একে একে মাসিনা জার্মানি ফ্রান্স এমনকি লন্ডনে এই রোগ ছড়িয়ে যায়,তাও মাত্র এক বছরের মধ্যে, সেই সময় এই রোগের যাত্রার গতি অনেক ভিড় ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও এই মানব রোগ সম্পূর্ণ ইউরোপীয় ভূখণ্ডে অকল্পনীয় দ্রুততা ও শক্তির সাথে ছড়িয়ে পড়ে |
146 থেকে 1353 মধ্যে এই নতুন প্রজাতির প্লগ বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার একটি বাক্যে মেরে ফেলে,এটি বিশ্বব্যাপী একটি মহামারী তে রূপান্তরিত হয়, এবং অসংখ্য মানুষকে মেরে ফেলে মাত্র ৪ বছরের মধ্যে 25 মিলিয়ন ইউরোপীয় ও বিশ্বব্যাপী 75 মিলিয়ন মানুষকে এই রোগ কেড়ে নেয়, এবং সেই সময়ে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল তিনশো আশি মিলিয়ন মানে 38 কোটি,যেহেতু প্রচুর লোক এই রোগের কারণে মারা গিয়েছিল সেই কারণে মানব জাতির জনসংখ্যা আগের স্থানে পৌঁছাতে 200 বছর সময় লেগে যায়,আর এই জনসংখ্যা আগে স্থানে পৌঁছাতে পারলেই তখনই,যখন এই কাল মৃত্যুর খেলা শেষ হয়,কিন্তু কিভাবে হল এর শেষ এটা কি এমনি এমনি শেষ হয়ে গিয়েছিল নাকি মানুষ আমাদের মতনই এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দিয়েছিল,অনেক এক্সপার্ট এর মতে,উত্তরটা হলো দুটোই, বৈজ্ঞানিক ও মেডিকেল ভিত্তিতে এই রোগের উপর কাবু পাওয়া সম্ভব হয়,এমন এক সময় আসে যেখানে এই রোগে আক্রান্ত হতে আর কেউ বাকি থাকেনা।
এই ফুচকা গুলো মধ্যে রক্ত পুঁজ জমে থাকতো,এই রোগে যারা আক্রান্ত হতো তাদের মধ্যে 80 শতাংশই মারা যেত,তাও আবার আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ৮ দিনের মধ্যেই,এটা সত্যিই খুব মর্মান্তিক এবং কষ্টদায়ক ছিল,এবং এই পরিস্থিতির জন্য সারা বিশ্বব্যাপী বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় এরপর জনসংখ্যা অনেক কমে যায় তারা বলতে গেলে মৃত্যুর পর মুক্তি হতে থাকে,এক পর্যায়ে গিয়ে আক্রান্তদের দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়,কেউ আক্রান্ত হলে তাদেরকে সেই ভাবে ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া হতো,এই ভাবেই এই রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি কিছুটা কমে যায়,দ্বিতীয় পর্যায়ে গিয়ে মানুষ বুঝতে পারে এভাবে আক্রান্তদের ছেড়ে চলে আসলেই হবে না তাদেরকে এই রোগকে জয় করতে হবে,আর এই রোগকে জয় করতে হলে এই রোগের ছড়ানো কে আটকাতে হবে,সেই সময়ে ডক্টরদের কাছে কোন ভালো পরামর্শ ছিলনা মানব জাতিকে বাঁচানোর জন্য,কারণ এটি ছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি রোগ,কিন্তু একজন প্লেগের ডক্টর বলেন যে আক্রান্ত ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালেও সেই আক্রান্ত ব্যক্তির অসুস্থ আত্মা সেই সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে ঢুকে যাবে,তাকে অসুস্থ বানিয়ে দেবে শুনে হাস্যকর মনে হলেও তিনি খুব একটা ভুল ছিলেন না,কারণ বুবনিক প্লেগ,বায়ুবাহিত রোগ ছিল।
অর্থাৎ এটা সত্যি যে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখলেও এই রোগটি হতে পারে,তাই ডক্টরের পরামর্শ দেয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য,মানুষ যদি একে অপরের সাথে মেলামেশা না করে তবে এই রোগ নতুন করে ছড়াবে না জানি আপনাদের এই কথাটা শোনা শোনা লাগছে,সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখা হয় এবং নিজেদের বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেওয়া হয়,যাকে তারা কোয়ারেন্টিন বলতো আর যাকে আমরা করেনটাইন বলি,এখনকার মতন পরিস্থিতি সেই সময় তৈরি হয়েছিল,এছাড়াও মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে দিকে গিয়ে থাক শুরু করে,যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয় না,
কারণ এই রোগের বাহক মাছি ইঁদুর গ্রামের ছিল,তবে ডক্টর রোগীদেরকে দেখতে অস্বীকার করে,কারণ তারা এই পদ্ধতিকে রোগ প্রতিরোধের জন্য কল্যাণকর বলে মনে করেন এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আসে এবং মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা সেই সময় অনেক বিখ্যাত হয়ে ওঠে,কারণ প্রথমত দেহ পুড়িয়ে ফেলে রোগের ভাইরাস মরে যায় এবং দ্বিতীয়ত কবর দেওয়ার জন্য আর স্থান পাওয়া যাচ্ছিল না,কবরস্থান একটি কবরের মধ্যে একসাথে অন্তত দশ জনকে কবর দেওয়া হতো,এমনকি মানুষ নিজের পরিবারের লোক কে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যেত,ইতিহাসবিদ সিটি ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক ছিলেন তিনি বলেন যে সেই সময়কার মানুষ রোগের প্রিভেনশন কিভাবে করা যায় তা জানতো না,ফলে তারা তাদের আক্রান্ত প্রিয়জনদের ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হতো,এবং যেসব নাবিক বাজাজ যাত্রীরা বাইরে থেকে আসবে তাদেরকে সরাসরি ঢুকতে দেওয়া হতো না,তাদেরকে 30 দিন জাহাজে সেল্ফ আইসোলেশন এ রাখা হতো পরবর্তীকালে এই 30 দিনের বদলে সেটাকে বাড়িয়ে 40 দিন করা হয় এবং এই পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে কিন্তু মাছি ইঁদুর তখনও এই রোগ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ।
আর এই বুবনিক প্লাগ এর প্যাথোজেন এর নাম হচ্ছে এ আরসিনা প্রেস্টিজ,তাই স্যানিটাইজার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়া হয় সমস্ত জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে সেখানে মাছি ও ইঁদুরের উপদ্রব কমে যাবে এরা রোগটি ছড়াতে পারবে না,কোয়ারেন্টাইনে থাকা ও স্যানিটেশন কাজ করে এই কাল মৃত্যু আটকাতে এবং 2010 সালে এই রোগের ধ্বংসলীলা শেষ হবার কারণ জানা যায়।
2010 সালে গবেষকরা এই প্লেগ রোগে মৃতদের কবর থেকে তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করেন পরীক্ষা করে জানতে পারে সেই সময়ের প্লেগের ব্যাকটেরিয়া শক্তি এখনকার তুলনায় অনেক বেশি ও ভয়াবহ ছিল,কিন্তু তখনকার থেকে এখনকার ব্যাকটেরিয়া জিনের মিউটেশন ঘটে ফলে এর শক্তি কমে যায় তখনকার থেকে,এছাড়াও মানুষের জিন মিউটেশন ঘটে এবং এই রোগের প্রতিরোধক শরীরে তৈরি হয়ে গেছে এই সবকিছু মিলিয়ে এই ভুবনে আটকানো সম্ভব হয়,কিন্তু সেই সময় মানুষদের অনেক রকম ভুল ধারণা প্রচলিত ছিল,যেমন ভগবান তাদের উপর ক্ষিপ্ত তাদেরকে ভগবান শাস্তি দিচ্ছে বা গোলাপ জল দিয়ে স্নান করলে প্লেগের ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে ইত্যাদি।
তবে 1665 সালে যখন আবারো লন্ডনের প্লেগ ছড়ায় তখন সেটি খুব সহজে এক বছরের মধ্যেই কন্ট্রোল করে নেওয়া যায়,এই সময় একজন লেখক এই ঘটনায় একটি কবিতা লেখে যেটা এখনও নার্সারি বাচ্চাদের নার্সারি রাইমস পড়ানো হয়, আর সেটি হল
রিংগা রিংগা রোজেস কারণ সেই সময় মনে করা হতো গোলাপের গন্ধ শুকলে প্লেগ হবে না,মানে তাই সবাই গোলাপ নিয়ে থাকতো এখানে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই টিস্যু লাগবে সর্দি মোছার জন্য আগেই বলেছি সর্দি প্লেগ এর লক্ষণ ছিল ।
বোঝানো হলো সবাই মারা গেছে নরমালি এই কবিতাটি কে শুনলে বাচ্চাদের জন্যই তৈরি হয়েছে বলে মনে হলেও আসলে কবিতাটি মেটাফোরিক্যালি লেখা হয়েছে,এরকম অনেক রাত আছে যেগুলোর আসল মানে অনেক ভয়ানক ।
এবং যাই হোক আমরা প্রায় একই রকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি,এবং আমাদের এই লড়াই জিততে হবে,আর এই যুদ্ধের জন্য আমরা নিজেদের প্রাণ দেব না,সেই কারণে সবকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে,মাক্স পড়ুন হাত সব সময় সাবান দিয়ে ধুয়ে এবং দুই গজ দূরত্ব অবলম্বন করুন,আর এইটুকু করলে হয়তো আমরা একদিন এই মহামারী থেকে উদ্ধার পেয়ে যাবো ।
কোন মন্তব্য নেই
নতুন মন্তব্যগুলি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত নয়৷