ফিলিস্তান =ইসরায়েল=দ্বন্দ্ব

আপনার বসবাস যদি পৃথিবী হয় তাহলে আপনি এই কয়দিনে নিশ্চয়ই ইসরাইল প্যালেস্টাইন কর্তৃক সম্বন্ধে কিছু না কিছু শুনেছেন, আপনাদের মধ্যে অনেকেই আমার কাছে রিকোয়েস্ট করেছিলাম যে ইসরাইল প্যালেস্টাইন কংক্রিট সম্বন্ধে জান তাই আজকে আমরা এটা ইলেকট্রিক সম্বন্ধে জানবো, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ হিস্তরিক্যাল পেরস্পেক্টিভ হবে, অর্থাৎ আজকের এই বর্তমান সিচুয়েশন সম্বন্ধে কোন কিছু বলা হবে না,super azad টিম এত বড় নয় ইসরায়েল প্যালেস্টাইন এ গিয়ে রিপোর্ট করবেন, সঠিক তথ্য জানাবে তার উপরে এই বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল এক্সপ্রেস চলছে,কি মিডিয়া অন্য কাউকে দোষ দিচ্ছে আর কিছু মিডিয়াকে দোষ দিচ্ছে,সেই ক্ষেত্রে আমি কোন একটি ইন্ডিভিজুয়াল দিকে যেতে পারছি না, অর্থাৎ আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে,কে সঠিক, কে ভুল, কিন্তু এই হিস্টোরিক্যাল প্রস্পেক্টিভ আপনাদের সাহায্য করবেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য

 চলুন শুরু করা যাক

হাজার ১993 সালে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল,


কিন্তু হঠাৎ কি এমন ঘটে, যার জন্য আজকের মত দুরবস্থায় চলে আসলো, আর যার কারণে অনেক সাধারণ মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে, আজকের এই দুরবস্থা কে যদি বুঝতে হয়, তাহলে আমাদেরকে চলে যেতে হবে বহু বছর পূর্বে,
[ইতিহাসে] 


প্রথমে তো আমাদের জানতে হবে যে ইসরাইল দেশটি তৈরি হলো কি করে

সরাইল দেশ তৈরি হওয়াটাই ছিল অভূতপূর্ব একটি বাস্তবতা.মানে বিশ্বাস করতে পারেনি যে ইজরাইল বলে কোদেশ তৈরি হতে পারে আপনার প্রায় সকলেই জানেন,যে হিটলারের জিইউজ দের উপর কি অত্যাচার করেছিল,আর এই হিটলারের সাধারণ,জি ইউজ দের প্রাণ নিয়েছে,এই জি ইউজ উপর অত্যাচার শুধুমাত্র হিটলারি করেনি তাদের উপর অত্যাচার হাজার হাজার বছর ধরে চলে এসেছে খ্রিস্টা মনে করত,যে পরিবারে জি ইউজ জন্মগ্রহণ হয়েছিল,এবং কিছু যীশুর ক্রুশ বিদ্ধ কে ছিল এইরকমচিন্তাধারা কয়েক দশক ধরে খ্রিস্টানদের মধ্যে চলেছিল, যে কারণে খ্রিস্টানরা জি ইউজ উপর অত্যাচার করত,এবং অতীতে জি ইউজ প্রতি কিছু গুজব প্রচলিত ছিল, যেমন জি ইউজ নাকি খ্রিস্টানদের ব্যবহার করতনিজেদের ভিজ্যুয়ালে, এবং তাদের বাচ্চাদের রক্তখেকো, এরকম গুজব জি ইউজ প্রতি ঘৃণা জন্মে ছিলখ্রিস্টানদের, এবং খ্রিস্টানরা প্রচুর হত্যা করেছিল জি ইউজ, তাদেরকে প্রচুর ঘৃণা সম্মুখীন হতে হয়,আপনি যদি ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন তাহলে হাজার বছরে এরকম ঘৃণার সম্মুখীন কোন জাতি হয়তো হয়নি,

আর 1800 সালের পর থেকে ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, জাতীয় গত দিক থেকেও ঘৃণার পাত্র হতে হয়, এই কারণে জি ইউজরা ঠিক করে, যে তাদের যদি এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয় এবং সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে হয় তাহলে তাদেরকে একটি সম্পূর্ণ আলাদা দেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারাই শুধুমাত্র থাকবে তাদের চিন্তা ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে austro-hungarian জার্নালিস্ট 1896 সালে, মনির নামেরএকটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ শুরু করে দেয়, তিনি রাজনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এটাই বলেন জি ইউজ যুদ্ধের জন্য একটি আলাদা দেশ প্রয়োজন, কারণ পৃথিবীর অন্যান্য কোন দেশ তাদের কে আপন করে নিতে পারেনি, আর এই দাবিটা নতুন ছিলনা কারণ 870 এর প্রথম দিক থেকেই কিছু organization's প্রেমিক বলে দাবি করতেন, তারা একটি অন্য রাষ্ট্রের দাবি করেছিলেন, এর কারণ ছিল 1881 সালে একটি বৃহৎ সংসদের জি ইউজ যাযাবর অবস্থায় পাওয়া যায়, এবং তারা প্যালেস্টাইনে এসে বসবাস করতে শুরু করে স্থানীয়ভাবে,এবার হয়তো,আপনি ভাবছেন,যে প্যালেস্টাইনে কেন কারণ প্যালেস্টাইনের ছিল,সব থেকে পবিত্র স্থান জেরুজালেম.


জেরুজালেম  হচ্ছে  জি ইউজ মুখ্য পবিত্র স্থান, তবে মনে রাখবেন তখন কোন ইসরাইল গাজা ওয়েস্ট বেঙ্গল ছিলনা,এটা সম্পূর্ণ প্যালেস্টাইনে  নিজস্ব স্থান, এবং প্যালেস্টাইন তখন সভ্যতার শাসনের অন্তর্গত ছিল, আর এই অটোম্যান রাজত্বকালে মুসলিম খ্রিস্টান জি ইউজ  সবাই একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে ছিল এর কারনে এটাও হতে পারে যে সেই সময় এই স্থানে জনবসতি অনেক কম ছিল,  সেই কারণে অনেক জায়গা ছিল বসবাস করার জন্য,

ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সের বিশ্ব যুদ্ধ

এবার চলে আসব 1915 সালে, বলতে গেলে এখান থেকেই সূত্রপাত হয় এই বিতর্কে,  তখন প্রথম বিশ্ব 

যুদ্ধ চলছিল, ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সের এক সাথে লড়াই করছিল অটোম্যান সভ্যতার বিরুদ্ধে অর্থাৎ সেই সময় যদি অটোম্যান সভ্যতাকে হারিয়ে ফেলতে পারে ব্রিটিশরা, ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সের দখল নিতে পারবে সেই জায়গাটার, ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সের,নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে নাইজেরিয়া এবং প্যালেস্টাইনের এরিয়া ডাকে, তারা দুজনের সমান ভাগে ভাগ করে নেবে কিন্তু ব্রিটিশরা অত্যন্ত চালাক চিল, এবং তারা জানত যে বিশ্বযুদ্ধ জয় করবার জন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন, সেই কারণে তারা বিভিন্ন শক্তির কাছে বিভিন্ন রকম প্রতিশ্রুতি করে, একই রকম ভাবে ভারতের ,ক্ষেত্রে ব্রিটিশরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভারত যদি ব্রিটিশদের সহযোগিতা করে তাহলে তারা ভারতকে স্বাধীন করে দেবে ঠিক একই রকমভাবে ব্রিটিশরা আরবদেরকে আবেদন করেন যদি তারা এই যুদ্ধে ব্রিটিশদের সাহায্য করে তাহলে প্যালেস্টাইনকে আরবের হাতে তুলে দেবে, এবং আরও প্যালেস্টাইনকে রাজত্ব করতে পারবে, ঠিক একই রকমভাবে ব্রিটিশদেরকে,যদি দিতে সাহায্য করে তাহলে জীবনের জন্য একটি নতুন দেশ বানাতে সাহায্য করবে, এই প্যালেস্টাইনে আর ব্রিটিশদেরকে এ রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রধান কারণ ছিল, যাতে আমেরিকানরা ব্রিটিশদের দিকে চলে আসে যাতে আমেরিকার রাজনীতিতে ব্রিটিশদের কর্তৃত্ব অটুট থাকে কিন্তু,আমি যেটা প্রথমে বলেছিলাম আসলে ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ যে তারপরে ব্রিটিশ এবং ফ্রান্স নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে, আসলে ব্রিটিশরা ফ্রান্স কেউ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর যেমনটা আমরা সকলেই জানি , প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সভ্যতা হেরে যায় এবং ব্রিটিশ তাড়াতাড়ি করে সেই প্যালেস্টাইনকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয় ,  প্যালেষ্টাইনে ব্রিটিশ কব্জা করার পর কোন রকম প্রতিশ্রুতি না রাখার জন্য তারা একটি অবাধ ব্যবহার করে এই অজুহাত চেয়েছিল যারা প্যালেস্টাইনে বসবাস করে তারা প্যালেস্টাইন রাজত্ব করতে সক্ষম নয়


সেই কারণে তাদেরকে আগে শিক্ষিত হতে হবে, এই কারণে ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট হলে আর এখানে ব্রিটিশ নিজেদের আরেকরকম ভিন্নতা দেখায়,তারা এতদিন একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে থাকা প্যালেস্টাইন বাসীদের মধ্যে ভেদাভেদ পলি করে, তারা মুসলিমদের জন্য মুসলিম ইনস্টিটিউট কৃষাণ-কৃষাণীর এবং যুদ্ধের জন্য ইনস্টিটিউট করে , অর্থাৎ যারা এতদিন একসঙ্গে এগোচ্ছিল তাদেরকে আলাদা করে দেওয়া হয় এই একই রকম ঘটনার গন্ধ আপনারা কি উপলব্ধি করছে্‌ আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছে, যে আমি কিসের কথা বলছি যাইহোক হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতা পায় ,এবং 10 লক্ষ জিউসকে অমানবিকভাবে হত্যা করে, এরপর পৃথিবীর নানা দেশে পালিয়ে জিউস,বাঁচতে থাকে কিছু জিউজ আমেরিকাতে গিয়ে বসবাস যাপন করে, এবং তারা স্থান পেয়ে যায় পাশাপাশি কিছু চলে আসে প্যালেস্টাই্‌ কিন্তু পরের দিকে প্যালেস্টাইনের আশাকে বন্ধ করে দেয় ব্রিটিশরা, আর এখান থেকেই আবারও শুরু হয়ে যায় ঈশ্রায়েলি নেশনালিস্ট মাভমেন্ট এবং প্যালেস্টাইনে বসবাসকারী যেসকল লোক ছিল তারা প্রত্যেকে দাবি করে যে আমাদের  একটি আলাদা দেশ তাদের জন্য বানিয়ে দিতে হবে,আর 1948 সালে ব্রিটিশরা বুঝতে পারে, আবার প্যালেস্টাইন ছেলে আমাদেরকে পালিয়ে যেতে হবে যে কারণে ইউনাইটেড নেশনস এর তত্ত্বাবধানে জিউসের জন্য আলাদা দেশ, প্যালেস্টাইন বাসীদের জন্য আলাদা দেশ, নির্মাণ করে দেওয়া হয়, এবং একটি পার্টিশন প্ল্যান করা হয় |


১947 সালে প্রকাশিত পার্টিশন প্ল্যান অনুযায়ী 55 শতাংশ জমি দেওয়া হয় জিউসকে নতুন দেশ তৈরি করতে এবং 45 শতাংশ জমি দেওয়া হয় প্যালেস্টাইন আরব দেশকে, যেহেতু জেরুজালেম তিনটি ধর্মের জন্য খ্রিস্টান মুসলিম এবং জিউস দের  জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান জেরুজালেমকে ইন্টারন্যাশনাল কন্ট্রোল করা হবে, ইউনাইটেড নেশন এর এই দাবি জিউসরা মেনে নেয়,

1948 সালে ইসরাইল নামে নতুন দেশ

এবং তারা 1948 সালে ইসরাইল নামে নতুন দেশ তৈরি করে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আশেপাশে যে আরব দেশগুলো ছিল, তারা এই দাবিকে একদম মানে না, যেহেতু ব্রিটিশরা আরবকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল যে তারা প্যালেস্টাইনকে দিয়ে দেবে আরবের হাতে সেই কারণে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে যায়, এবং তারা মনে করে এই যে প্ল্যান করা হয়েছে তার পেছনে ব্রিটিশদের হাত রয়েছে তাই তারা ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যায়, তাদের বক্তব্য একদম স্পষ্ট ছিল ইসরাইলকে একফোঁটাও জায়গা দেয়া হবে না এই যুদ্ধের নাম দেওয়া হয় [ প্রথম আরব ইসরাইল যুদ্ধ ] 1948 সালের যুদ্ধ নিজের মধ্যেই নিজে একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত ছিল কারণ সদ্যোজাত একটি দেশের বিরুদ্ধে, তাবড় তাবড় পাঁচটি আরব দেশ লড়তে চলে এসেছে  আরব দেশগুলোর কাছে মোটিভেশন

ছিল, ইসরাইলকে একফোঁটা জমি দেওয়া হবেনা  কিন্তু ইসরাইলের কাছে একটা বিরাট বড় মোটিভেশন ছি


জিউসের মনে মনে একটি প্রতিজ্ঞা নেয় যে তাদের এই পৃথিবীর কোন দেশ আপন করে নেয়নি

হিটলারের মত স্বৈরাচারী শাসক তাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করেছে, এবং এত কিছুর পর পেয়েছে একটি নিজের দেশ, এই দেশটি তাদের বাঁচাতে হবে  নয়তো তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে এই পৃথিবী থেকে, তাই তারা মন প্রাণ দিয়ে এই যুদ্ধ করে কিন্তু আশ্চর্য বিষয় কি জানেন সদ্যজাত দেশটিতে যুদ্ধ জিতে যায়,

দখল করে নিয়েছে,

এবং 1949 সালে যুদ্ধ শেষ হবার পর দেখা যায় যে ইউ এন এর দ্বারা যে পার্টিশন তৈরি করা হয়েছিল সেই পার্টিশনকে অমান্য করে ইসরাইল সম্পূর্ণ প্যালেস্টাইন দেশকে দখল করে নিয়েছে,যার ফলে প্যালেস্টাইনের কাছে কোন জমি অবশিষ্ট থাকে না, অর্থাৎ প্যালেস্টাইনের বসবাসকারী সাড়ে সাত লক্ষ মানুষ রাতারাতি নিজের দেশেই রিফিউজি হয়ে যায়, এবং তারা আরবের অন্যান্য দেশগুলোতে স্থান নেয় বসবাসের জন্য, এই ঘটনাকে বলা হয় 1948 সালের প্যালেস্টাইন 1967 সালে এবং ইসরাইলের দ্বিতীয় যুদ্ধ হয়, এই যুদ্ধে 6 দিন ধরে এবং এতে জয়লাভ করে ইসরাইল যুদ্ধের পর ইসরাইল ইজিপশিয়ান পেনিনসুলার সহ এবং ওয়েস্টবেঙ্গল করে নেয়, এরপর তারা নিজেদের দেশকে ফেরত পেতে চায় এবং তৈরি হয় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে নিজেদের দেশকে হাতিয়ার এর সাহায্যে নিজের দেশকে উদ্ধার করা হবে, এবংইজরাইল নামক দেশকে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া হবে, এর ফলে ইউএসএ এবং ইসরাইল এই অরগানাইজেশন দিকে মানে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন দিকে টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন বলে আখ্যা দেয়,1973 সালে আরব-ইসরাইল এর মধ্যে তৃতীয় বারের জন্য যুদ্ধ হয় এই যুদ্ধে তেমন কোন বৈশিষ্ট্য ছিল না কারণ এই যুদ্ধের জন্য তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি এরপর 1974 সালের প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন আবার সৃষ্টি হয়, এবং এই সংগঠনকে রেকোগ্নিসড করা হয় জেনারেল অ্যাসেম্বলি দ্বারা, সরকারিভাবে হয়ে ওঠে প্যালেস্টাইন বাসীদের অফিশিয়াল রেপ্রেজেন্টেটিভ , এদিকে 1979 সালে


ইসরাইল এবং ইজিপ্ট অর্থাৎ মিশরের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং মিশর হয়ে ওঠে প্রথম আরব দেশ ভালো করে শুনবেন প্রথম আরব দেশ যারা ইসরাইলকে একটি দেশ হিসেবে গণ্য করে, এবং পৃথিবীতে যে তাদের অস্তিত্ব আছে সেটাকে স্বীকার করে আরেকটা ইসরাইলের কাছে বিরাট বড় ছিল, কারণ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি দিলেও তাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আরব দেশগুলো তাদের স্বীকৃতি দেয়নি,  আর্মি প্রথম তাদের স্বীকৃতি দেয় সেই কারণে তারা খুশি হয় এবং এই শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের জন্য 1967 সালের যে অংশটি ইসরাইল দখল করে রেখেছিল মাঞ্চুরিয়া সেই অংশটি কে আবার ওকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় আর এই কারনেই মিশরের প্রাইম মিনিস্টার কে এবং ইসরাইলের প্রাইম মিনিস্টার শান্তির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ইজিপ্টের রাইটিং ইজিপ্টের দল প্রাইম মিনিস্টার কে তার দুবছর পরেই হত্যা করে তাদের মতে ইজিপ্টের প্রাইম মিনিস্টার কি করে ইজরাইলকে একটি দেশ হিসেবে গণ্য করল আর 


ইসরাইলের মতো দেশের সাথে সে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কে গেল সেই কারণে তাকে হত্যা করে দেওয়া হয়, কিন্তু এদিকে 1967 থেকে 1980 সাল পর্যন্ত ইসরাইল গাজা স্তৃপ এবং ওয়েস্ট ব্যাংকের ওপর কব্জা করে রেখেছে, এই সময়ে অনেক ইজরাইল বাসীকে ওয়েস্ট ব্যাংকে গিয়ে বসতি স্থাপন করতে দেখা যায়, এই ঘটনাকে ইসরাইল সরকার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে সমর্থন করেছিল এছাড়াও অভিবাসীদের মধ্যে,
ওই স্থানটি ছিল তাদের এই সরকার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে সমর্থন করেছিল এছাড়াও প্রবাসীদের মধ্যে কোনটি চির তাদেরই তাই তারা সেখানে গিয়ে থাকতে পারার মধ্যে কোন অসুবিধা থাকার কথা নয় ব্যাংকের এরিয়াতে থাকতো কারণ সেখানে ঘরবাড়ি কিছুটা সস্তায় ছিল এবং কিছুটা ধর্মীয় কারণ সেখানে গিয়ে থাকা শুরু করে কিন্তু পার্টিশন প্ল্যান অনুযায়ী ইজরায়েলের উপর কোন অধিকার নেই তারা বেআইনিভাবে সেখানে থাকতে শুরু করে কারণ এই স্থানটি প্যালেস্টাইনের ম্যাপ এর মধ্যে ছিল 1992 সালে ইসরাইল একটি অনেক ভালো প্রাইম মিনিস্টার পায়  যার নাম ছিল রবিন তিনি প্রথম প্যালেস্টাইনে এবারেশন অর্গানাইজেশন কে লেখক নাইস করে, এবং তিনি এই সংগঠনকে টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন বলে আখ্যা দেন না,


এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, তিনি বলেন এই অরগানাইজেশন শুধুমাত্র তাদের দেশকে ফেরত চায় এবং তাদের দেশকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত, এরপর অফিশিয়ালি প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন ইসরাইল সমর্থন করে, এবং প্যালেস্টাইন ও ইসরাইলকে সমর্থন করে,1994 সালে প্রথমবার ইসরাইল প্যালেস্টাইন দেশের প্রাইম মিনিস্টার একসাথে পিসফুলি কথা বলে, এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে কিভাবে তারা দেশের ভাগবাটোয়ারা করবে, এবং কিভাবে প্যালেস্টাইন দেশ আবারো তৈরি হবে, এরপর 1994 সালের প্যালেস্টাইন নিজের  সরকার গঠন করে,
যার নাম দেওয়া হয় প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল অথরিটি, কিন্তু ইতিমধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল  ইসরাইলের লোকেরা স্থায়ী বসতি তৈরি করে নিয়েছিল, সেই জন্য প্যালেস্টাইনের লোকেরা কিছু বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন স্থানে এবং অল্প স্থানে বসবাস শুরু করে এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল অঞ্চল tk. তিনটি ভাগে  বিভক্ত করা হয়- পার্ট a পার্ট b  পার্ট c  -

পার্ট a কে প্যালেস্টাইন সরকার কন্ট্রোল করবেন পার্টি  ব  কে প্যালেস্টাইন সরকার এবং


ইসরাইল  সরকার উভয়ই কন্ট্রোল করবেন, এবং পাট  সি কে ইসরাইল সরকার কন্ট্রোল করবে, কিন্তু মাথায় রাখবেন 1994 সালে ইউনাইটেড নেশনস এর যে পার্টিশন প্ল্যান ছিল সেটা তো দূরের কথা ভ্যালেন্টাইন  বাসীদের কাছে শুধুমাত্র কয়েকটি হাতেগোনা স্থান ছিল, যেখানে তারা বসবাস করতে পারবে ওয়েস্ট ব্যাংক এর কিছু অংশ এবং গাজা স্তৃপ এর কিছু অংশ নিয়ে এর প্যালেস্টাইন দেশ গঠন করতে শুরু করে, কিন্তু ভালো খবর এটা ছিল যে এই সময়ের মধ্যে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে চলে এসেছিল, এবং একটি সুস্থ দিকে তারা এগোচ্ছিল

1994 সালে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট এবং প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট নোবেল প্রাইজ পান,


কিন্তু এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সর্বনাশ তো তখনই হয় যখন উগ্রবাদী right-wing যারা কিনা ইসরাইলের ছিল তারা প্রেসিডেন্ট কে হত্যা করে দেয় ,একজন উগ্রবাদী ইসরাইলি পিস্তল দিয়ে তিনটি গুলির মাধ্যমে হত্যা করেছিল প্রেসিডেন্টকে উগ্রবাদী

প্রেসিডেন্টকে উগ্রবাদীরা মনে করেন কীভাবে তাদের প্রাইম মিনিস্টার ভ্যালেন্সটাইন্ড এর সাথে কম্প্রোমাইজ করছে, এবং কিভাবেই বা ইজরায়েলের ভেতরে প্যালেস্টাইন দেশটিকে বেড়ে উঠতে দিচ্ছে, সেই কারণে এই প্রাইম মিনিস্টার কেউ মেরে ফেলাটা অত্যন্ত জরুরী

এই ঘটনার পাঁচ থেকে ছয় বছর পূর্বে ইসরাইলি  ইসলামিক লোক একত্রে আসে এবং হামাস গ্রুপ কে তৈরি করে, এবং তারা বলেন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন মানে তখন প্যালেস্টাইনের একমাত্র অথরিটি তারা একটু বেশি ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে, এবং একটু বেশি কম্প্রোমাইজ করছে ইসরাইলের সাথে কিন্তু হামাস চাইছিল ইজরাইলকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে,তাই তারা নতুন একটি উগ্রবাদী দল গঠন করে যেটা লড়াই করতে থাকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এবং লড়াইয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরাইলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা, এভাবেই আমার গ্রুপের ফর্মেশন হয় এদিকে ইসরাইলে উগ্রবাদী কিছু লোক প্যালেস্টাইনের সাথে বন্ধুত্ব করা প্রাইম মিনিস্টার কে ঘৃণা করতে শুরু করে এবং অপরদিকে হামাস গ্রুপের লোক প্যালেস্টাইনের সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়, কারণ সে ইসরাইলের সাথে কম্প্রোমাইজ করছিল আমার গ্রুপ শুধু এখানেই থেমে থাকেনি তারা


1986 সালে ইলেকশন কে বয়কট করে, এবং সুইসাইড বোম্বিং ইসরাইলে করা এবং এই কারণে দুই তরফের উগ্রবাদী মানুষদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়, মেরুকরণের মাত্রাও অনেক বেড়ে যায় এরফলে 1995 এর ইসরাইল ও প্যালেস্টাইনের লোকেদের মধ্যে ঘ্রিনা আরো বেড়ে যায়, কিছুটা তো আগেই ছিল কিন্তু সেটা এই মুহূর্তে আরো অনেক বেড়ে গিয়েছিল ,2002 সালে দুই তরফের থেকেই ভায়োলেন্ট অ্যাটাক দেখা যায়, একশরও বেশি ইসরাইলি এবং প্যালেস্টাইনি মারা যায়, বম্বিং 19-22 দেশের প্রতি এতটাই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেছে, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইসরাইলের বসতি স্থানগুলোতে পাঁচিল তুলে দেয়া হয়,এবং সিকিউরিটি গার্ড মোতায়েন করা হয় এবং চেক পয়েন্ট তৈরি করা হয়, আর এই কারণে প্যালেস্টাইন বাসীদের এই ভাবে জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, কারণ তাদেরকে জীবনের সব মেন সূত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল পাঁচিলের মাধ্যমে,  


তারা বহির্জগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল তাই উন্নতি পুরোপুরি থেমে গিয়েছিল এবং 2006 সালে হামাস মিলিট্যান্ট গ্রুপ ইলেকশনে দাঁড়াইলেন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন এর বিরুদ্ধে,

যাকে ফতে বলা হয়, এবং হামাস মিনিটের গ্রুপ স্মল মাছিনে জিতে যায় এবং তারা 74 টি আসন পায় 132 টি আসনের মধ্যে এবং 2007 সালে প্যালেস্টাইনের ভেতরেই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে,

যাকে ব্যাটেল অফ গাজা বলা হয়ে থাকে, এই গৃহযুদ্ধের কারণে প্যালেস্টাইন দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় হামাস,রাষ্ট্রের উপর দখল করে নেয় এবং ওয়েস্টবেঙ্গল অঞ্চলে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন শাসন করে,এই অংশটি বলতে গেলে non-violent, এবং এই অংশের শাসন একটা একচুয়াল গভারমেন্ট এর মত হয়ে থাকে,বর্তমান সময়ে হামাস দ্বারা অধিকৃত টেররিস্ট একটি ডিমের মতন কাজ করে এই টেরোরিস্টের অধিকৃত অঞ্চলে


অর্থাৎ গাজা থেকে ওয়েস্টবেঙ্গল চলে বিভিন্ন রকেট এবং মিসাইল পাঠানো হয়,অনেক মানুষেরই জীবনে ঘটে এই কারণে অপরদিকে ওয়েস্ট ব্যাংকের শাসকরা কখনোই এরকম ভায়োলেন্স এরুপ্তেদ ধর্ষণ করে নি, এটাই হল ইসরাইল প্যালেস্টাইন কমপ্লিট এমনভাবে ,ইসরাইল প্যালেস্টাইন কনট্রি ইতিহাসে এমন ভাবেই অংশে আমি নিজে,এটা সত্যি যে ট্রাফিক নিয়ে আরবের বিভিন্ন দেশ অস্থির হয়েছে ইংরেজি নিয়ে খারাপ রাজনৈতিক প্রদর্শন করেছে, কিন্তু এগুলোর পরেও এটা ভুললে চলবে না যে ইসরাইল প্যালেস্টাইন করার জন্য অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটে আজকে এটা ভুললে চলবে না থাকার জন্য পৃথিবীতে একটি দেশ রয়েছে, তেমনি কেউ এটা বললে চলবেনা প্যালেস্টাইনে বসবাসকারীরা নিজেদের দেশে রিফিউজি হয়ে গেছে তাদের বস বাসটান কেউ ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ইসরাইলের, অর্থাৎ আমার মতো ইউনাইটেড নেশনস এর পর্যবেক্ষণে ইউজার এবং প্যালেস্টাইনকে দুটি সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হোক বা এমন ভাবে ভাগ করা হোক যাতে দুজনের স্যাটিস্ফাইড হয়, এবং দুজনের মধ্যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে আসে কারণ এর বাইরে যাই ঘটুক না কেন তাতে অশান্তি হয় এবং সাধারন মানুষের মৃত্যু ঘটে   


অত্যন্ত রিকোয়েস্ট ছিল আমি বানিয়েছি তো আপনাদের মতামত জানবার আমার প্রত্যন্ত ইচ্ছা রইল অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানান আপনার মতামত 

এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু কিছুক্ষণ পর উল্লেখ করা হবে আজ এ পর্যন্ত নেক্সট আর্টিকেল



No comments

Theme images by Silberkorn. Powered by Blogger.
ad