বইটি কেন আমাদের পড়তে দেওয়া হয়না

মানিক গ্রন্থ যেখানে মানুষ কিছু শব্দ লিপিবদ্ধ করে, এই শব্দের ভিত্তিতেই ঠিক হয় বইয়ের প্রকৃতি প্রকৃতির মধ্যে কিছু বই আমাদের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার সঙ্গী হয়ে ওঠে, কোনটি আমাদের রোমাঞ্চ করে কোনটি আমাদের উন্নত করে তোলে, আবার কোন বই আমাদের কুসংস্কারের দিকে ঠেলে দেয়, আজ আপনাদের এমন কিছু বইয়ের সম্বন্ধে বলতে চলেছি ,যেগুলোকে আপনারা শৈশব কেন আপনার বয়স 100 হলেও হয়তো আপনি পড়তে পারবেন না, তাই আজ ,দশটি অদ্ভুত বই সম্বন্ধে বলতে চাইছি, যে আপনি পড়তে পারেন কিনা তা আমি জানিনা কিন্তু এই বইগুলোর রহস্য অবশ্যই,আপনাকে আপনি শুনবেন

নাম্বার 1

তারে প্লিজ কল বুক 15 শতাব্দী এক সাধুর নাম অনুযায়ী এই বইয়ের নামকরণ হয়েছিল, যার নাম ছিল শিল্পী বলা হয়, বিদ্যার বই এই বইতে বলা হয়েছে যে কিভাবে একজন মানুষ সত্যের সন্ধানে ইউরোপ প্রদর্শন করেছিল, এর পাশাপাশি কিভাবে রূপান্তরিত শেখা যায় তাও লেখা রয়েছে ,
এই বইতে রূপান্তর বিদ্যার সাহায্যে নাকি কোন প্রাণীকে নিজের রূপ দেওয়া যায়, এছাড়াও এই বইতে একটি জাদুর কথা বলা হয়েছে, যার সাহায্যে পরশ পাথর তৈরি করা যায়, পরশপাথর হচ্ছে এমন একটি পাথর যাতে কোনো কিছু স্পর্শ করলেই তার সোনায় পরিণত হয়ে, যায় বলা হয় যে এই বইটি তার সম্বন্ধে লেখা হয়েছে সে অমরত্ব সন্ধান পেয়ে গেছে এবং সে আমাদের মধ্যে বসবাস করছে, কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে অমরত্বের ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য হলেও, পরশপাথরের ব্যাপারটা মোটেও বিশ্বাস করার মতো নয়, বইটি রূপকথার মনে হলেও বইটির লেখক অনুযায়ী বইটি সত্য ঘটনার উপর এই লেখা হয়েছে |

নাম্বার 2

সাভার স্ক্রিপ্ট বা তাবুক মানে পড়া সম্ভব নয় বলা হয়, এই বইটিকে বিজ্ঞানীরা এখনো পাঠকদের করতে পারেনি, বাঁকে এই বইটি কে লিখেছেন তা জানা যায়নি এই বইটির নামকরণ হয় নিজের নাম অনুসারে রাখা হয়েছে ,909 থেকে 912 সালের মধ্যে এই বইটি তার হাতে আসে,এই বইটি সম্পূর্ণ মানুষের হাতেই লেখা হয়েছে ,এবং এই পুরো বই জুড়ে আঁকা রয়েছে বিভিন্ন গাছের পাতার ছবি কিন্তু সেইসব গাছের সন্ধান মানুষ কখনো পায়নি, বা বলা ভালো চোখে দেখেনি এছাড়াও এই বইটিতে আরো অদ্ভুত অদ্ভুত ছবি আঁকা রয়েছে, যেমন এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন মহিলা যৌন সঙ্গমে লিপ্ত রয়েছে, ও অনেক অ্যাস্ট্রোনমি ছবি আঁকা রয়েছে আর বলার প্রয়োজন নেই এই বইটি কতটা সময় তাই এই রঙ, সময় ও অদ্ভুত বইটিকে পড়তে অনেক পাঠকই কোটি কোটি টাকা খরচ করছে

নাম্বার 3

এই বইটিতে একইরকমভাবে অনেক অদ্ভুত ছবি রয়েছে, এই বইটি ইটালিয়ান আর্টিস্ট লুকিয়ে আছে লিখেছেন কিন্তু এই বইটি লেখা হয়েছে সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাষাতে, এই বইটি তিনি সম্পূর্ণ নিজের হাতেই লিখেছেন এবং অনেক দ্রুত এঁকেছেন যেমন তেমন ফল যা থেকে রক্ত বেরোচ্ছে এমন ফল যাচ্ছে, এমন একটি নারীর ছবি যে কিনা কুমিরের সাথে মিলনের ফলে নিজেই কুমীরে পরিণত হচ্ছে ,তাই কিছু মানুষ এই বইটিকে বহির্বিশ্বে এনসাইক্লোপিডিয়া করেছে আর বর্তমান সময়ে এই বইটিকে আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন, আপনি চাইলে এটিকে কিনতে পারবেন, আর আপনি জেনে অবাক হবেন 95% মানুষ এই বইটি কে পছন্দ করেছে |

নাম্বার 4

দ্য বুক অফ, এই বইটি প্রথম মালিক কুইন এলিজাবেথ এর পাশাপাশি তিনি একজন গণিতজ্ঞ বিশেষজ্ঞ ছিলেন, প্রায় তিন হাজার 390 ছিল, এবং পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কালেকশন এর অন্যতম এই বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো 197 পাতার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল যাদুবিদ্যার জন্ডিস মৃত্যুর পর, বইটির রহস্যময় ভাবে উধাও হয়ে যায়, 1994 সালে এই বইটি দুটি সংকলন পৃথিবীর দুটি আলাদা স্থানে পাওয়া যায়, একটি হলো ব্রিটিশ লাইব্রেরি অফ লন্ডন ও, আরেকটি বার্লি লাইবেরি অফ অক্সফোর্ড বলা হয় ,যে ভগবানের দুধ অর্থাৎ এনজেল এই বইটি আদমকে নিজের হাতে দিয়েছিলেন তার নাম বলতে আমরা যাকে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে, তিনি এই বইটির সাথে এরকমই ইতিহাস জড়িয়ে থাকার কারণে এই বইটি অনেক সুরক্ষিত ভাবে রাখা হয়, এবং অনেক বড় বড় মাফিয়া, এই বইটির উপর নজর রয়েছে |

নাম্বার 5

এই বইটি কোন একক তবে এই লাইনগুলো ডানদিক থেকে শুরু করে বাম দিকে শেষ হয়েছে, এই বইয়ের মধ্যে 87 টি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে ,যা যুদ্ধের প্রতীক কোন আবিষ্কার ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রতি ইংলিশে যেমন 26 টি অক্ষর রয়েছে, তেমনই এই বইয়ের ভাষা অনুযায়ী এই বইতে 300 টি অক্ষর রয়েছে, এই বইটি প্রথম 14 সালে হাঙ্গেরিতে পাওয়া গিয়েছিল, হাঙ্গেরির আজাদ লাইব্রেরীটি কে দান করে দিয়েছিল হাঙ্গেরি অ্যাক্যাডেমি অফ সাইন্স কে যেখান থেকে এই বইটি কে আবিষ্কার করা হয়, কিন্তু কখনোই জানা যায়নি যে বইটি কোন ভাষায় লেখা হয়েছে, বাসার মানুষেরা কোথায় আছে বা কোথায় থাকতো আপনি চাইলে বইটিকে পাতা উল্টে দেখতে তো পারবেন, কিন্তু পড়তে পারবেন না

নাম্বার 6
সিক্স এই বইটিকে ব্ল্যাক ম্যাজিকের টেস্ট বুক বলে বহুকাল ধরেই এই বইটি কে নিয়ে অনেক ধোঁয়াশা ছিল, মনে করা হয় যে এই বইতে দেওয়া সমস্ত তথ্যই এক প্রসিদ্ধ রাজা লিখে গিয়েছিলেন, এই বইটিতে মূলত শয়তানদের বশে আনার প্রক্রিয়া লেখা হয়েছে তাই খুব সহজেই মানুষ, এই বইটির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনে, কিন্তু আপনি যদি এই বইটি পড়তে চান তাহলে সরি এই বইটি খুবই গোপনে ভাটিকান সিটির কোন এক গোপন কক্ষে রাখা হয়েছে আর আপনি হয়ত নিজেই জানেন যে কোনো বাইরের দেশের মানুষ ভাটিকান সিটির লাইব্রেরীতে ঢুকতে পারে না, মোটামুটি অনুমান করা যায় যে বইটি কে নিষিদ্ধ করার আগে এই বইটিকে পড়ে শয়তানকে বশে আনার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে ,লোকমুখে প্রচারিত যে এই বইটি নাকি শয়তান নিজের রাজাকে দিয়ে লিখে দিয়েছেন কিন্তু এর প্রকৃত উৎসের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি |

নাম্বার 7[  চেয়ারম্যান এটি একটি 15 শতাব্দী 2900 সালে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা হয় এবং সেই অনুপাতে বইটি পড়ে সবাই চমকে ওঠেন, লেখা অনুসারে তিনি এই বইটি লিখেছেন তিনি জানিয়েছেন তিনি গিয়েছিলেন এবং তখন সেখানে তারা একজন সাধু গিন্নির সাথে, আলাপ হয় সেই জাদুঘরটি তাকে অনেক পৃথিবীর বহির্ভূত জাদু শিখেছিলেন, যাছে এই বইটিতে লিখে যাচ্ছেন সে জাদু গুলির মধ্যে মৃত মানুষকে পুনর্জীবিত করা হাওড়া আত্মার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা ও নিজেকে শয়তানের হাতে তুলে দেওয়ার মতো জাদু ছিল, লেখক এর মতে সব মানুষদের মধ্যেই শয়তানের বাচ্চা কে শুধু তার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে শিখতে হয় এবং তারপর পৃথিবীর সর্ব শক্তিমান হওয়া যায় এই বইটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তীকালে বিভিন্ন বই এবং বিভিন্ন মুভি বানানো হয়েছে, যেখানে শয়তানকে নিজের আত্মা বিক্রি করে সর্বশক্তিমান হতে দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তেমন কিছুই সম্ভব নয়, তবে এই বইটির রহস্য মানুষকে আরো বেশি আকৃষ্ট করে |


নাম্বার 8

ইকোনমিক অন্ড এই বইটিতে মৃত মানুষকে কিভাবে আবার জীবন্ত করা যায়, তার সম্পূর্ণ ডিটেইলস লেখা আছে, এই বইটিকে দা বুক অফ বেদ বলা হয়ে থাকে, এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর জিনিস দিয়েছে দেখা যায়, ফ্রাইডে দ্য থার্টিন্থ ইভিল ডেড সি ডি যে এই বইটির নাম উঠে এসেছে ,মিস্টার ইউনিভার্সিটি তে আজও এই বইটি রয়েছে কিন্তু ভোল্ট এর মধ্যে এই বইটিকে অনেকে দা মোস্ট ওয়ান্টেড অল টাইম বলে আখ্যা দেয় |

নাম্বার 9[  নাই এই বইটিকে ম্যাজিকের বলা হয়ে, থাকে বইটি বিভিন্ন ধরনের যাদুবিদ্যা দ্বারা ভর্তি যারা জাদু, জাদু তো বিশ্বাস করতেন না তারা অনেকেই এই বইটি পড়ার পর যাদু-টোনা কে নিজের জীবন বানিয়ে নিয়েছে, এবং এই বইয়ের ভাষা অপরিচিত নয়, এটিকে অনেক আগেই ঠিক করা হয়ে গেছে এবং বলা হয় যে যারাই এই বইটিকে সম্পূর্ণ পড়ে তাদের ব্রেন ওয়াশ হয়ে যায়, ইভেন শক্তির দ্বারা মানে শয়তানের তারা তাই দয়া করে মেমোরি থেকে দূরে থাকবেন |

নাম্বার 10[  অল ফ্যাক্টরি এপি একবার সাধু লিখেছেন 16 সালে এই বইটিতে একটি যুবকের কাহিনী আছে যে কিনা 14 বছর বয়সে নিজের জন্মস্থান ছেড়ে চলে যায়, তার নিজের লাইফটাকে উন্নত করতে থাকে, তার এই জীবনের জার্নির মধ্যে কোথাও কোথাও রোমান্স আবার কোথাও যুক্ত আছে, এবং এই সবকিছুর শেষও হয়ে যায়, তারপর সে সন্ন্যাস নেয়, এবং পরবর্তীকালে সাধু হয়ে যায়, তখনি সে তার এই গল্প লেখে কিন্তু এই বইটি পাবলিশ করা হয়, 2018 সালের অর্থাৎ বইটি লেখার প্রায় 400 বছর পর, কিন্তু কেন এতদিন এই বইটিকে পাবলিশ করা হয়নি, আসলে এই বৈশিষ্ট্যটি অনেকটা সাধারণের মতো কিন্তু যতবারই এই বইটি পাবলিশ করার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই পাবলিশার্স কোনো-না-কোনো অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে, সেই জন্য অভিশপ্ত বলে মনে করা হয়, কিন্তু ফর্টনাইটলি 2018 সালে যারা এই বইটিকে পাবলিশ করেছে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি |

এবার প্রশ্ন হল হট করে কেন আপনাদের এরকম রহস্যময় সম্বন্ধে বলা হলো, অ্যাকচুয়ালি আমি ঠিক করেছি এমন একটি, আর্টিকেল লিখব বাস্তবতা নিয়ে, যেখানে এক্সপ্লেইন করব কেন আমরা এই রহস্যময় গুলোকে রোল সময় মনে করি, এবং ভয় কেন পায় সেই কারণে ওটি অবশ্যই লাইক করতে হবে, এবং কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন ,যে আপনার কোন বইটি পেলে অবশ্যই পড়তে চাইবেন করতে চাইবেন যে বইগুলো এখন এভেলেবেল রয়েছে |

No comments

Theme images by Silberkorn. Powered by Blogger.
ad