জনাথন জেমস,কেভিন পোলসেন,গ্যারি ম্যাকিনন,আদ্রিয়ান লামো,

কম্পিউটার আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে পৃথিবীতে কাজের ধরনের অনেক পরিবর্তন এসেছে, বর্তমানে এমন কোন কাজ নেই যেখানে কম্পিউটার ব্যবহার হয় না এখন যুদ্ধ হাতিতে লড়াই হয় না লড়াইয়ে টেকনোলজি তারা হাই সিকিউরিটির জন্য আমরা কম্পিউটার ল্যাপটপ মোবাইল এবং ওয়েবসাইটে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি, তার পড়ো একদল মানুষ টেকনোলজি ফাঁকফোকর| 


খুঁজি বের করে, কোন সাধারণ মানুষের বা কোন দেশের গোয়েন্দা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নেয়, এই সমস্ত মানুষ গুলোকে বলা হয় হ্যাকার হ্যাকার প্রধানত দুই ধরনের,হোয়াইট হ্যাকার. এবং ব্ল্যাক হ্যাকার হলে তারা যারা আইনের মধ্যে থেকে হ্যাক করে, কিন্তু ব্ল্যাক হ্যাকার সর্বদা বেআইনি কার্যকলাপ করে থাকে, আর এই হল আধুনিক যুগের তারা মাঝে মাঝে এমন কাণ্ড কারখানা করেছে|


যা গোটা পৃথিবী কে স্থাপিত করে দিয়েছিল আজ আপনার সাথে এমন ভয়ংকর হ্যাকার এর পরিচয় দেব ক্রিয়া-কলাপ শুনে নিশ্চিতভাবে আপনি অবাক হবেন তো চলুন শুরু করা যাক, আজকের এপিসোড আপনি যদি অলরেডি আমার ওয়েবসাইট এসে পড়া শুরু করেছেন,দয়া করে পাশে আশা বেল আইকনটিতে প্রেস করুন প্রতিটি নতুন আর্টিকেল নোটিফিকেশন পাবেন|



জনাথন জেমস


 

জনাথন জেমস ইন্টারনেট দুনিয়ায় জনাথন জেমস কমরেড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, 15 বছর বয়সে জেমস এমন এমন কাজ করেছিল,যেটা সারা পৃথিবীর সেরা হ্যাকার ত তাকে এনে দিয়েছিল এত কম বয়সে সে এমন হ্যাকিং করেছিল সেটা আমেরিকা সরকারকে ওলট-পালট করে দিতে পারে আমেরিকা সরকারের প্রায় সমস্ত ডেটাবেজ প্রশাসনিক বিভাগের তথ্য, ও তার হাতে চলে এসেছিল কিন্তু সমস্যা তখন হয়েছিল যখন জেমস নাসার পুরো নেটওয়ার্ক হ্যাক করে নিয়েছিল, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ কোড ডাউনলোড করে নিয়েছে এই সমস্যা রিকভার করতে এবং ইনভেস্টিগেট করতে মাসের প্রায় 41 হাজার ডলার খরচ হয় যায় নেটওয়ার্কে সুরক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে 3 শব্দটা বন্ধ করে রেখেছে 2007 সালে আমেরিকান পুলিশ গ্রেপ্তার করে 2008 সালে জেল থেকে মুক্তি পায় এবং তারপর তার রহস্যময় মৃত্যু ঘটে|



কেভিন পোলসেন


 

কেভিন পোলসেন অনেক সময় টিভি বা রেডিওতে বিভিন্ন কম্পিটিসন হয়, যেখানে দর্শক-শ্রোতারা ফোন করে সঠিক উত্তর দেয় এবং তাদের মধ্য থেকে একজনকে উইনার হিসেবে গণ্য করা হয়, আর এরকম কোন কম্পিটিশনে যদি একটা ফোর হুইলার প্রাইস হিসেবে থাকে তাহলে আমাদের প্রত্যেকেরই মন চাইবে উইনার হতে, সেরকম উইনার হয়েছেন আমেরিকার বাসিন্দা কেভিন পোলসেন, কিন্তু তিনি সেটা না করে পুরো রেডিও স্টেশনের টেলিফোন সিস্টেমকে 15 মিনিটের জন্য হ্যাক করে নিয়েছিলেন, ভাবা যায় |

ভাবা যায় এবং ফাইনালি অন্যান্য সমস্ত শ্রোতাদের ফোন কল ডাইভার্ট করে দিয়ে ওই রেডিও কম্পিটিশন উইনার হয়ে ফোর হুইলার এর মালিক হয়েছিলেন এই ঘটনার পর এফবিআই নজর পড়ে, অন্যের উপর কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল বলছেন এফবিআই সার্ভার কেউ হ্যাক করে নেন এরপর একটা সুপার মার্কেট সিস্টেমকে হ্যাক করে অনেক ক্ষতি করেছিলেন কিছুদিন পর সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং 51 মাস জেল হয়, জেল থেকে মুক্তির পর পুলিশের হয়ে কাজ করতে থাকে | 



গ্যারি ম্যাকিনন


গ্যারি ম্যাকিনন, জিনিসগুলো নামেও পরিচিত গ্যারি ম্যাকিনন সবচেয়ে বড় মিলিটারি কম্পিউটার হ্যাক করেছিল, 2001 সালে গ্যারি ম্যাকিনন এবং নাসা সার্ভারে ঢুকতে সফল হয়েছিল, আর এটা মনে করা হয় গাড়ির এই হ্যাকিং ছিল সবচেয়ে বড় মিলিটারি কম্পিউটার হ্যাকিং আর এই সার্ভারে ঢোকার পর তিনি কিছুটা সফটওয়্যার ডিলিট করে দিয়েছেন, যেগুলো রিকভার করতে গিয়ে আমেরিকা সরকারকে সাত লক্ষ ডলার খরচ হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন তিনি টাকার জন্য করেননি, বরং বিশ্বের প্রাণী এলিয়েন স্পেসশিপ এবং সম্পর্কে জানার জন্য করেছিলেন, এবং তিনি জানতে পেরেছিলেন, বলেছেন সিস্টেম এমন কিছু ভিডিও ফুটেজ এবং ফটো পাওয়া গেছে যেখানে পরিষ্কার স্পেসশিপ এবং ইউএফও দেখা গেছে |



আদ্রিয়ান লামো


আদ্রিয়ান লামো, তাকে হোমলেস 11 বলা হয়ে থাকে, ছোটবেলা থেকে প্রচণ্ড দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে তার বেড়ে ওঠা, আদ্রিয়ান লামো নিউইয়র্ক টাইমস এবং মাইক্রোসফট এর মত বিশাল কোম্পানির সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক করেছিলো দারিদ্রতার কারণে নিজের কম্পিউটার না থাকায় সাইবার ক্যাফেতে কাজ চালিয়ে নিত, কোন রেস্টুরেন্ট হবে বসেই বড় বড় কোম্পানি সিইওদের ঘুম উড়িয়ে দিতেন, পরবর্তীতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং আমেরিকান কোড তাকে ছয় মাসের জন্য হাউস অ্যারেস্ট ও 65 হাজার ডলার জরিমানা করে, মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকতার কাজ শুরু করে এবং হ্যাকিং নিয়ে মানুষকে তৃপ্তিতে থাকে




No comments

Theme images by Silberkorn. Powered by Blogger.
ad